নিজস্ব সংবাদদাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গতি প্রকৃতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আচরণে ক্ষুব্ধ আদালত। যার জেরে বিচারকের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাকে। মামলার বিগত শুনানিতে, আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে। তিনি এও বলেছিলেন, বিচার কী হচ্ছে তা তিনি বুঝতে পারছেন। তিনি বিচার চান না, জেলের ভিতরে যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় সেটা চান। পার্থর এহেন মন্তব্যের পাল্টা উষ্মা প্রকাশ করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারক বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ভাষায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন তা আদালতের জন্য অপমানজনক। সব ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া যে যায় না সেই বিষয়টা বুঝতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন বিচারক। এরপর আদালত কক্ষের বাইরে বেরিয়ে পরে অবশ্য পার্থ বলেছেন যে তিনি কখনো আদালতকে অবজ্ঞা করেননি। আর ভবিষ্যতেও করবেন না। অন্যদিকে, আদালতে সওয়াল জবাবের সময় বিচারকের কাছে মক্কেলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন পার্থর আইনজীবী। তবে, পার্থ আদালতে একা ছিলেন না ছিলেন প্রাক্তন এসএসএসি কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ অন্যান্যরা। কতদিন তাদের জেল হেফাজতে থাকতে হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাদের আইনজীবী। পার্থ এরকম মন্তব্য কীভাবে করতে পারলেন সেই প্রশ্ন তার আইনজীবীকে করেন বিচারক। পাল্টা পার্থর আইনজীবী জানান, তার মক্কেল ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু বলেননি। প্রসঙ্গত, বার বার জামিনের আবেদন জানালেও জামিন পাননি পার্থ সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতরা। আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে তাদের। জামিন না পেয়ে অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে জেলে চিকিৎসা মিলছে না বলে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানী চলাকালীন আলিপুরের বিশেষ কোর্টে হয় সওয়াল জবাব। সেখানেই বিচারক পার্থর মন্তব্যের জেরে উষ্মা প্রকাশ করেন। এর আগে তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে তদন্তকারী অফিসাররা আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উঠছে প্রশ্ন, কী ভাবে অপমানজনক কথাটা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলতে পারলেন উনি? এখন দেখার নিয়োগ দুর্নীতির মামনার পরের শুনানিতে সওয়াল জবাব কীরকম হয়।
নিয়োগ দুর্নীতি : অপমানজনক! পার্থর মন্তব্য়ে ক্ষুব্ধ বিচারক
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন সময়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন বিচারক। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য় অপমানজনক বলে মন্তব্য করেন বিচারক।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গতি প্রকৃতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আচরণে ক্ষুব্ধ আদালত। যার জেরে বিচারকের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাকে। মামলার বিগত শুনানিতে, আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে। তিনি এও বলেছিলেন, বিচার কী হচ্ছে তা তিনি বুঝতে পারছেন। তিনি বিচার চান না, জেলের ভিতরে যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় সেটা চান। পার্থর এহেন মন্তব্যের পাল্টা উষ্মা প্রকাশ করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারক বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ভাষায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন তা আদালতের জন্য অপমানজনক। সব ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া যে যায় না সেই বিষয়টা বুঝতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন বিচারক। এরপর আদালত কক্ষের বাইরে বেরিয়ে পরে অবশ্য পার্থ বলেছেন যে তিনি কখনো আদালতকে অবজ্ঞা করেননি। আর ভবিষ্যতেও করবেন না। অন্যদিকে, আদালতে সওয়াল জবাবের সময় বিচারকের কাছে মক্কেলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন পার্থর আইনজীবী। তবে, পার্থ আদালতে একা ছিলেন না ছিলেন প্রাক্তন এসএসএসি কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ অন্যান্যরা। কতদিন তাদের জেল হেফাজতে থাকতে হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাদের আইনজীবী। পার্থ এরকম মন্তব্য কীভাবে করতে পারলেন সেই প্রশ্ন তার আইনজীবীকে করেন বিচারক। পাল্টা পার্থর আইনজীবী জানান, তার মক্কেল ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু বলেননি। প্রসঙ্গত, বার বার জামিনের আবেদন জানালেও জামিন পাননি পার্থ সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতরা। আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে তাদের। জামিন না পেয়ে অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে জেলে চিকিৎসা মিলছে না বলে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানী চলাকালীন আলিপুরের বিশেষ কোর্টে হয় সওয়াল জবাব। সেখানেই বিচারক পার্থর মন্তব্যের জেরে উষ্মা প্রকাশ করেন। এর আগে তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে তদন্তকারী অফিসাররা আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উঠছে প্রশ্ন, কী ভাবে অপমানজনক কথাটা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলতে পারলেন উনি? এখন দেখার নিয়োগ দুর্নীতির মামনার পরের শুনানিতে সওয়াল জবাব কীরকম হয়।