নগ্ন হতে বাধ্য করা হয়! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে ভয়াবহ তথ্য

যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার মাত্র তিনদিন পর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বাংলাজুড়ে। এটা খুন নাকি আত্মহত্যা সেই নিয়ে নানা ধরনের তদন্ত হয়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
hostel

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে উঠে আসে খুনের অভিযোগ। বাংলা বিভাগের নবাগত ছাত্রের পরিবার দাবি করে যে খুন হয়েছে তাঁদের ছেলে। কিন্তু ওই ছাত্রের মৃত্যুর আসল কারণ কী?

পুলিশি তদন্তে একাধিক সম্ভাবনা উঠে আসার পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টেও উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও জানা গিয়েছে যে রিপোর্টেই রয়েছে একের পর এক চমকে দেওয়া তথ্য। গত ৪ সেপ্টেম্বর ১৫তম বৈঠকের পর একটি রিপোর্ট পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। সেখানে প্রায় শতাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে নানারকমের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় ওই কমিটির তরফে। এক হস্টেল সুপারকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের এক নিরাপত্তারক্ষীকেও সাসপেন্ড করার সুপারিশ করা হয়। সর্বত্র গাফিলতির কথা উঠে আসে ওই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট থেকে।

জানা গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ওই তদন্ত কমিটি বলছে যে নদিয়ার মৃত ছাত্রের সঙ্গে মেইন হস্টেলে একাধিক দিন ধরে চলেছিল মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার। দাবি, বেশ কয়েক জন মিলে ভয়-সন্ত্রাসের একটা পরিবেশ তৈরি করেছিল মেইন হস্টেলে। এর কোপ পড়েছিল নবাগত ছাত্রের উপরেও। দাবি, ওই ছাত্রকে নগ্ন করে অশালীন কাজ করানোর অভিযোগও স্বীকার করে নেওয়া হয় ওই রিপোর্টে। হস্টেলের কিছু সিনিয়রদের নেওয়া ‘ইন্ট্রো’ থেকে শুরু করে অশ্রাব্য গালিগালাজ দিতে বাধ্য করা, এমনকী ওই সিনিয়রদের কথা না শুনলে বেধড়ক মারধরের কথাও স্পষ্ট লেখা হয়েছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির রিপোর্টে। ওই রাতে, নদিয়ার ছাত্রকে নগ্ন হতেও বাধ্য করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ছাত্রের মৃত্যুর আগের রাতে আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছিল। অভিযুক্ত এক প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে সেখানেই ওঠে অভিযোগ। ওই ছাত্রের সঙ্গেই এক ঘরে থাকছিলেন বাংলা বিভাগের নবাগত ছাত্র। দাবি, ৯ আগস্ট রাতে একাধিক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয় বগুলার পড়ুয়াকে। শুধু তাই নয়, বাংলা বিভাগের একটি অনুষ্ঠান থেকে একদিন মাঝপথে বেরিয়ে আসে ওই ছাত্র। মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে প্রচণ্ড ভয়ে থাকছিল সে, এমন দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। 

rectify impact.jpg