নিজস্ব সংবাদদাতা: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতা জওহর সরকার বলেছেন, "আমি এমপি পদ, টিএমসি এবং রাজনীতি ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমি রাজনীতি ছাড়ব। কিন্তু আমি আমার নীতি ছাড়ব। আমি সাম্প্রদায়িক বিরোধী, আমি মহিলাদের অধিকারের জন্য অবিরত আছি।"
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জওহর সরকার বলেন, “মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশীশক্তির আস্ফালন।” তিনি আরও লিখেছেন, “সরকারের কোনও বক্তব্যকেই মানুষ বিশ্বাস করছে না। পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কেন ঝাঁপিয়ে পড়ে কথা বলছেন না।”
আরজি কর ইস্যুতে আগে সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় মন্তব্য করেছিলেন। তিনি নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। সেই কারণে সিবিআইয়ের তদন্ত করতে অসুবিধা হচ্ছে। সাংসদ শান্তনু সেনও আরজি কর ইস্যুতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার জেরে তাঁকে দলের কোপের মুখে পড়তে হয়েছে। এবার আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যসভার সাংসদ ইস্তফা দিলেন জহর সরকার। তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। জহর সরকার মাত্র তিন বছর আগে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।