অনুস্মিতা ভট্টাচার্য: বিজেপি সাংসদ এবং রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে।
এই নিয়ে এএনএম নিউজের প্রতিনিধিকে তিনি ফোনে জানান, 'এটা প্ল্যানমাফিক হচ্ছে। কারন কিছুদিন আগে আমার যে পাহারাদার তাকে মারধর করে প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে শান্তিপুর থানার পুলিশ এবং ওসি সুব্রত মালাকারের সহযোগিতায় এগুলো হচ্ছে। কারণ এর আগেও মারধরের ঘটনার কেস হয়েছিল। তাদেরকে আগেই সতর্ক করে জামিনের ব্যবস্থা করেছে এবং আজকে আমার পুকুরে মাছ চুরি হচ্ছে, এর আগে ভাঙচুর হয়েছে, মাঝে মাঝেই খবর হচ্ছে। এর আগেও আমি মাছ চুরির অভিযোগ দায়ের করিয়েছি আমার রক্ষীর মাধ্যমে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। আজকেও আমি যাওয়ার পর যখন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা জানাই কোনও পুলিশ আসেনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে। এলো আধঘন্টা পরে রানাঘাট এসডিপিওকে ফোন করতে। তার আগে আমরা জানিয়েছি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে। তারপর তিনি হয়তো নির্দেশ দিয়েছেন। এসডিপিও যখন আসে তখনই পুলিশ ঢোকে। অর্থাৎ প্ল্যানমাফিক আরো যাতে বড় হামলা হয় তার জন্য ষড়যন্ত্র করা এবং আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এর আগেও মাছ চুরি হয়েছে। আমি চাইছি পুরো ঘটনার তদন্ত হোক এবং এর সঙ্গে যারা যারা জড়িয়ে আছে সকলকে অ্যারেস্ট করে তাদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা হোক। এই পুলিশ প্রশাসন, সুব্রত মালাকার শান্তিপুর থানায় থাকলে এটা হবে বলে আমার মনে হয় না। আমি বহুবার বহু ঘটনায় দেখেছি উনি তৃণমূল সভাপতির ভিডিও ভাইরাল করার জন্য মিডিয়াকে নির্দেশ দেন। এরকম একজন ওসি সে তো কখনোই নিরপেক্ষ হতে পারে না। তিনি গর্ব করেন তৃণমূল করেন। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি এছাড়া আর রাস্তা থাকল না। থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করব ঠিকই কিন্তু এর প্রতি আমার আস্থা নেই। কারণ এরা সব সময় অপরাধ করে কাউন্টার কেস সাজানোর সুযোগ করে দেয়। অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য কাউন্টার কেস দেয় মিথ্যা। সারা বাংলা জুড়ে এটা চলছে'।