আরজিকর মামলার পেছনে রয়েছে বড় চক্রের হাত, ঠিক কি জানালো সুপ্রিম কোর্ট?

প্রধান বিচারপতি এদিন আদালতে তদন্তের ব্যাপ্তি নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "আমরা শুধু ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতির দিকে নজর রাখছি, কিন্তু যদি তদন্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে তা দেখা হবে।"

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Supreme court

নিজস্ব প্রতিবেদন : আরজি কর কাণ্ডের পেছনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ফের উঠেছে, বিশেষ করে সিবিআই-এর তদন্তে। সিবিআই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে এবং প্রধান বিচারপতি এদিন আদালতে তদন্তের ব্যাপ্তি নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "আমরা শুধু ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতির দিকে নজর রাখছি, কিন্তু যদি তদন্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে তা দেখা হবে।" এটি ইঙ্গিত দেয় যে, এটির সঙ্গে একটি বড় চক্র জড়িত থাকতে পারে।

Supreme court hearing

আরজি কর কাণ্ডের পর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি প্রথম এই অভিযোগ উত্থাপন করেন, যেখানে তিনি বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য ট্রাফিকিং-এর কথা বলেন। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর দুর্নীতির ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য উঠে আসছে। সিবিআই এখন তদন্ত করছে সন্দীপ ঘোষের অধ্যক্ষ থাকাকালীন আরজি কর মেডিক্যালের মর্গে বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে। শুক্রবার ফরেন্সিক মেডিসিনের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাসের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন যে, ওই সময় ঠিক কী ঘটেছিল। 

supremecvc ghn

সন্দীপ ঘোষের 'ইচ্ছাপূরণ' না করায় সোমনাথ দাসকে বদলি করা হয়েছিল। গত বছর ৫ জানুয়ারি আরজি কর হাসপাতালে ENT বিশেষজ্ঞদের একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মৃতদেহের প্রয়োজন ছিল। তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাস ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের আনা মৃতদেহ ওয়ার্কশপে দিতে অস্বীকার করলে সোমনাথ দাসকে বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজে বদলি করা হয়। CBI শুক্রবার সোমনাথ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অভিযোগ উঠেছে যে, ওই দেহগুলি ব্যবহার করার বিষয়ে তাঁদের পরিবারও জানত না।