নিজস্ব প্রতিবেদন : বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে বেনজির প্রতিবাদের আওয়াজ আরও জোরালো হয়েছে। চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে গতরাতে কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মশাল মিছিল হয়েছে, যা হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত ৪২ কিমি দীর্ঘ হয়েছে। প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন প্রবীণরা, যারা হুইলচেয়ারে এবং ওয়াকার নিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছেন।
শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে নির্যাতিতার পরিবারের হাতে মশাল তুলে দেওয়া হয়। সেখানে মা তার দুঃখের কথা বলার পাশাপাশি চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানান। তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন, তিলোত্তমার ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত যেন সবাই পাশে থাকেন। এই আন্দোলন যেন একত্রিত হয়ে চলতে থাকে, এমনই প্রত্যয় দেখাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
নির্যাতিতার মা তাদের অসহায়ত্ব এবং বেদনা প্রকাশ করে বলেন, "৯ তারিখের পর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। মুখে কোনও কথা আসে না। কারণ, বুকের ব্যথা মুখ দিয়ে ব্যক্ত করা যায় না। ব্যথাটা বুকেই রয়েছে। তবে, একটাই আশা যে এত সাধারণ নাগরিক আমার পাশে আছেন, সবাই আমার মেয়েকে তাঁদের পরিবারের মেয়ে ভেবে আন্দোলনে নেমেছেন। আর জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁরা তো আমার ছেলে-মেয়ে। তাঁরা যেভাবে ঝড়ে বৃষ্টি-বৃষ্টিতে রোদে পুড়ে কষ্ট করে এতদিন ধরে লড়াই চালিয়ে গেছেন, তাঁদের তো আমি কী বলব ...ছোট না হলে প্রণামই করতাম। তাঁরা এখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন...তাঁরা তো জনগণের সেবার জন্যই ডাক্তার হন। আজ সমাজই তাঁদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন...সমাজের সেবা করবেন...আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন। এটাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। তাঁরা সেবা করুক...আবার আন্দোলনও চালিয়ে যাক। যাতে আমার মেয়ের বিচার পাই। যতদিন না বিচার পাই, ততদিন এভাবেই রাস্তায় থাকুন। আমার পাশে থাকুন।"