নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর মুখে বঙ্গোপসাগরে একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটির মধ্যেই আশার খবর এবার এল সামনে। একাধিক বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস বলছে যে বৃষ্টিতে পুজোর প্রস্তুতি অর্থাৎ জমিয়ে শপিং করা ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও পুজোর দিনগুলোয় আবহাওয়া ভালো শুধু নয় শুষ্ক থাকবে। কাদা পাড়িয়ে ঠাকুর দেখতে হলেও বৃষ্টিতে ভুগতে হবে না ওই ৪টে দিন।
পূর্বাভাস অনুসারে অক্টোবরের প্রথম ১৫টা দিন বঙ্গবাসী ভুগবে বৃষ্টিতে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। আর এর জেরে প্রভাব পড়তে পারে প্রতিমা তৈরি ও মণ্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে। এমনকী বাঙালির পুজোর বাজারও মার খেতে পারে একনাগাড়ে বৃষ্টির জন্য। এদিকে, ১৫ অক্টোবর অর্থাৎ মহালয়ার পরদিন থেকে ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্যে রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার একটা সময় আসছে। এই সময়ের মধ্যে পশ্চিমা শুষ্ক বাতাস ও সামুদ্রিক আর্দ্র বাতাসের সংঘর্ষে সৃষ্ট মেঘ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হলেও হতে পারে। এর পাশাপাশি আবার কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর তার জেরে বাধা পেতে পারে দুর্গাপুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কুমোরটুলি থেকে প্লাস্টিক মুড়ে বার করতে হতে পারে প্রতিমাকে।
পুজোর সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির তোমন কোনও পূর্বাভাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না যেটা বেশ স্বস্তির খবর এই মুহূর্তে। মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ায় ক্রমশ বাড়তে থাকবে পশ্চিমী হাওয়ার প্রভাব। পশ্চিমি শুষ্ক বাতাসের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় কমে যাবে রাতের তাপমাত্রা। রেহাই পাওয়া যাবে প্যাচপ্যাচে ঘাম থেকে। আর এর ফলে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখে বেড়ানোর আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেই সময়ে। তবুও এখানে ভাবনার বিষয় এটাই যে এই গোটা বিষয়টাই নির্ভর করছে মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহারের ওপর। সোমবার থেকে দেশে মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার শুরু হলেও হতে পারে। কিন্তু এমনটা কোনও এক অজ্ঞাত কারণে না হলে ভুগতে পারে ওই ৪টে দিনেও।
ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী। রাত ১১.২৪ মিনিটে লাগবে সপ্তমী। শনিবার ২১ অক্টোবর সপ্তমী। রাত ৯.৫৪ মিনিটে লাগবে অষ্টমী। ২২ অক্টোবর রবিবার অষ্টমী পুজো। সেদিনই রাত ৭.৫৯ মিনিটে লাগবে নবমী। ২৩ অক্টোবর সোমবার পড়েছে নবমী। বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে লাগবে দশমী। ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমী।