নিজস্ব সংবাদদাতা: চোখে একগুচ্ছ স্বপ্ন নিয়ে MBBS শেষ করেই MD-র প্রস্তুতি শুরু করেছিল ৩০ বছরের তরুণী। স্বপ্ন ছিল আরও বড় হওয়ার। কিন্তু এক ভয়ঙ্কর কালো রাতে সব শেষ হয়ে গেল এক লহমায়। আজ সে পরিচিত সকলের কাছে, কিন্তু এই ভাবে পরিচয়টা চাইনি সে। আর জি কর কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় আজ এই সব কিছুই ভয়ঙ্কর ভাবে চর্চিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক অভিযুক্তকে। হাসপাতালের দাবি সে বহিরাগত। কিন্তু বহিরাগত রাত আড়াইটে নাগাদ হাসপাতালে কি করছিল? যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন। তবে এই বহিরাগতকে কীভাবে চিহ্নিত করল পুলিশ? গতকাল ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালের চিকিৎসক, হাসপাতালের কর্মী, অস্থায়ী কর্মীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। এই জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই অভিযুক্তের কথায় অসঙ্গতি মেলে বলে জানা যাচ্ছে।
একই সাথে সেমিনার হলে যেখানে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে, সেখানে একটি ব্লু-টুথ হেডফোনের তারের ছেঁড়া অংশ খুঁজে পান গোয়েন্দারা। সেই হেডফোনই আসল অপরাধীকে খুঁজে দেয় বলে জানা যাচ্ছে। সেই হেডফোনের সূত্র ধরেই পুলিশ খোঁজাখুঁজি শুরু করলে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে খুঁজে পায়। আপাতত, তাঁকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে এই ঘটনায় সেই মূল অভিযুক্ত নাকি আরও কেউ রয়েছে এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে? তদন্ত চলছে দ্রুত গতিতে।