পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী...আরো একটা স্ক্যাম!

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় এবং অর্পিতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়। তিনি বারবার বলেন এই টাকা তাঁর নয়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
arpitam

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে শুরুতেই নাম জড়িয়েছে তাঁর। এবার আবার আবাসন কেলেঙ্কারিতেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি সংস্থার যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে দাবি করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসারদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অর্পিতার একটি সংস্থার সঙ্গে আবাসন বিক্রি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সংস্থার লেনদেনের তথ্য নাকি পাওয়া গিয়েছে। এই ব্যাপারে এবার বিশদ খোঁজ চলছে বলেও ইডি দাবি করছে।

আবাসন তৈরি করে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় সাড়ে চারশো জন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক এক সংস্থা। অভিযোগ, ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি এবং টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। প্রথমে পুলিশে অভিযোগ করেন প্রতারিতরা। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তদন্তে গড়িমসি করলে শেষমেশ আলিপুর আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয় এবং কলকাতা পুলিশ জানায় যে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সারবত্তা পাওয়া গেছে। ওই মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নেমেছে ইডি। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগসূত্রে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান, অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রসহ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ইডি দাবি করে যে নুসরত ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তবে নুসরতের দাবি, তিনি ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এবং তা সুদসমেত নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন। ইডি আবার দাবি করছে যে অভিযুক্ত সংস্থা সম্পর্কে যে নথি জোগাড় করা হয়েছিল তা থেকেই অর্পিতার নামে থাকা অনন্ত টেক্স ফ্যাব নামে একটি সংস্থার যোগ পাওয়া গেছে। ওই সংস্থার এক ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

ইডি বলছে যে আবাসন নির্মাতা সংস্থার নথি বিশদে যাচাই করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার সঙ্গে নথির তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কিছু অসঙ্গতিও ইডি খুঁজে পেয়েছে বলে খবর। প্রয়োজনে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ফের তলব করা হতে পারে বলেও জানাচ্ছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। হিসাব বলছে যে অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে পাওয়া যায় নগদ ২১ কোটি। বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ। এত বিপুল টাকা এল কোথা থেকে? অর্পিতা বারবার বলেছিলেন এই টাকা তার নয়।