নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেলের ঘরে ঘুরে ঘুরে প্রাক্তন ছাত্রদের খুঁজে বের করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে, মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কর্তৃপক্ষকে হস্টেলের প্রতিটি রুমে গিয়ে গিয়ে বলতে হবে ঘরখালি করার জন্য। ছাত্রদের তথ্য দিতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল খালি করার কথা।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে নদিয়া থেকে পড়তে আসা এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। Ragging- এর জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ জানায় তার পরিবার। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল তখন। তদন্তে নেমে প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার পরে, দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে Ragging- এর অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা শিক্ষামহল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে কেন প্রাক্তনীরা থাকছে, এই নিয়ে প্রশ্নও ওঠে তখন। এবার সেই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট।
যাদবপুর নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সুদীপ রাহা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রদের প্রতিনিধিরা জানান যে প্রাক্তনীদের হোস্টেলে থাকা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার হস্টেল খালি করা নিয়ে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ২৬ শে সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির করা হবে এই মামলার। সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে ইউজিসির কয়েকজনের একটি প্রতিনিধি দল। বেলা ১১ টা নাগাদ ইউজিসির ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। উপাচার্য বলেন, 'ইউজিসি আমাদের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে প্রতিনিধি দল, বিষয়টি তেমন নয়। এখানে হয়তো ওঁদের কারোর কারোর সঙ্গে দেখা করার আছে, কথা বলার আছে, তাই ওঁরা এসেছেন।' তিনি বলছেন, ‘ইউজিসি কী করতে এসেছে, তাঁরাই জানেন, আমাদের কিছু স্পষ্ট করে বলা হয়নি'।
এদিকে আজ আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুতে ৪ জন বর্তমান পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। ২৫ জন প্রাক্তন পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। হস্টেল সুপারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।