নিজস্ব সংবাদদাতাঃ তিলোত্তমার বিচার চেয়ে বুধবার রাতে প্রতিবাদে যোগ দিতে গিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। আন্দোলনে যোগ দিতে এসে গো-ব্যাক স্লোগানের মুখে পড়তে হল প্রাক্তন সাংসদকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই যাদবপুর ছেড়ে চলে যান মিমি। ২৭ দিন পার, এখনও বিচার পায়নি তিলোত্তমা। তাঁর সুবিচারের দাবিতেই গতকাল, বুধবার রাতে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন চিকিৎসক মহল। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই আট থেকে আশি-সকলে পথে নেমেছিলেন। ১৪ অগস্ট যেমন রাত দখল হয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি দেখা যায় গতকাল রাতেও।
যাদবপুরেও বিশাল জমায়েত হয়েছিল তিলোত্তমার বিচার চেয়ে। গান, পথ নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ চলছিল। মোমবাতি, মশাল থেকে মোবাইলের আলো জ্বালিয়েও প্রতিবাদের সুর চড়ান সকলে। সেই প্রতিবাদ অবস্থানেই যোগ দিতে এসেছিলেন যাদবপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে ভিড়ে সামিল হয়ে মোবাইলে ফ্ল্যাশ জ্বেলে তাঁকেও প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা যায়। তবে প্রাক্তন সাংসদের উপস্থিতি ভালভাবে নেননি আন্দোলনকারীরা। মিমিকে দেখেই 'গো ব্যাক' স্লোগান দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই ফিরে যান মিমি।
উল্লেখ্য, শুধু মিমিই নন, গতকাল গো ব্য়াক স্লোগানের মুখে পড়েন আরেক অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। শ্য়ামবাজারে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে গেলে, তাঁকে দেখে গো ব্য়াক স্লোগান দেওয়া হয়। ঋতুপর্ণার গাড়িতে ধাক্কা মারা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখেই তড়িঘড়ি দেহরক্ষীরা অভিনেত্রীকে গাড়িতে তোলেন।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি শাসক দলের প্রাক্তন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকেও।