নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতার বড় পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম 'বেহালা ইয়াং মেনস অ্যাসোসিয়েশন'। এবছর তাদের পুজোর বয়স ৭৫ বছর। তাদের এবছরের থিম 'গতি'। এই বিষয়ে এএনএম নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন এই পুজোরই একজন কর্মকর্তা পলাশ সাহা মহাশয়। তিনি তাদের থিমের সন্বন্ধে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
থিম বিস্তারিত: "একবিংশের জীবন যুদ্ধে ক্যাকো ফোনির তাল মেলাতে আমাদের দিন- নামচার ব্যাপ্তিতে একে ওপরের সাথে যুক্ত| সমরের পরে সমুদ্র মন্থনের চাকা চালমান অর্থনীতিতে প্রয়োজনের তাগিদে যানজটকে উপেক্ষা করে নাগালের পরিধিতে এসে পৌঁছচ্ছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিশেষ।
আরাম কেদারার দৈর্ঘ্য বিস্তারের জন্য চলমান লাল- কমলা বাক্স দিনে-রাতে ধূমকেতুর মতো , যা এক কালে এ দেশে আদি পর্ব থেকে রানার রূপে সূত্রপাত ঘটেছিল। রাতের পর রাত ঝুম ঝুম ঘণ্টা মাইল স্টোন এর আকুতিকে বয়ে নিয়ে চলে প্রিয়ের কাছে।
শান্তিনীড়ের দেবত্মার পাকস্তলীর তরল কর্মকাণ্ডের উদ্বেল সারিবদ্ধ ভাবে পনেরো ফুটের লাল সবুজকে উপেক্ষা করে শিরস্ত্রান
পরিহিত ধাবহমান দ্বিচক্র । বিষ্ণুহস্তে সুদর্শন নিয়ন্ত্রিত এই পঞ্চম ব্যাপ্তিতে নারীর স্কন্ধে শিশু সমেত বাহিত হচ্ছে বিশেষ জন গোষ্ঠী। সেই সমস্ত মানুষ যারা খবর থেকে খবর পরিবহন করছে শতাব্দীর দিগন্তে, আজ সেই উড়ন্ত পরিবাহী পাখনা গুলো ধীরে ধীরে রূপ নিলো মনুষ্য নিয়ন্ত্রিত সচল আয়তক্ষেত্রে ।
ঊর্ধ্বগামী যুগের উন্নত কাঁটা টিক টিক সময় সীমার মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে গন্তব্যে , নরম- গরমে স্বাদ কুঁড়ি তৃপ্তি হচ্ছে।
দুই পায়ে চলন্ত প্রাণেরা ধাপে ধাপে সমাজ প্রবাহের ভার বহন করে ওপর প্রান্তের হাতগুলোকে নকশি-সজ্জায় সামঞ্জস্য রূপ মাধুরী খয়রী দীর্ঘস্থায়ী করছে।
প্রচণ্ড দাবদাহের শুকনো মাটি আকাশের রসে দ্রবীভূত হয়ে ধরণীর কোলে ছোট্ট চারাগুলি সূর্যের আলোকবিন্দুকে সঞ্চয় করে সোনালী শীষে । বিশ্বজনীর গর্ভ দ্বারে আগতে শরণাগতদের অ- লেখা জীবন যাপনের বাসনা অদৃশ্য চিঠি রূপে নিবেদিত হয় চন্দন- কুমকুম , আতর , পুষ্প- পল্লবে। মাতৃসুধা কৃপাবারি রূপে বর্ষিত হয় অসংখ্য জীবত্মা সহ সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে দিব্য আলোক জ্যোতি রূপে।
এই বছর তাদের বাজেট প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। উদ্বোধন হবে ৪ তারিখের মধ্যে। এবছর তাদের সমগ্র পরিকল্পনায় রয়েছেন- শঙ্কর পাল, মৃতশিল্পী- অর্জুন ভট্টাচার্য- আবহ শিল্পী- সৈকত দেব, আলোক শিল্পী- কুনাল পাঠক।