নিজস্ব প্রতিবেদন : দাসনগরের ভারত জুট মিলের বন্ধের খবরে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুজোর সময়ে এমন একটি সংকট তাদের জীবনযাত্রা এবং পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলবে। শ্রমিকরা কর্মহীন হওয়ার পাশাপাশি বোনাস, বেতন ও গ্রাচুয়িটির হিসাব-নিকেশের আশা করছিলেন, যা এখন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত।
/anm-bengali/media/media_files/1000059882.jpg)
সকালে মিলের গেট বন্ধ দেখে তারা হতভম্ব হয়ে পড়ে, কারণ এক রাতে এমন একটি সিদ্ধান্তে তাদের জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। ঝোলা নোটিসে লেখা আছে, তাঁত বিভাগের অবৈধ ধর্মঘটের কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর মিলের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভে শামিল হন, তাদের দাবি— অবিলম্বে মিল পুনরায় চালু করা হোক এবং তাদের পাওনা পরিশোধ করা হোক। প্রশাসনের কাছে তাঁদের আকুতি, যাতে সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে তাঁদের ন্যায়বিচার চেয়ে সোচ্চার, যাতে পুজোর আনন্দে যেন কোনো বাধা না আসে।
/anm-bengali/media/media_files/nfbmYe3s5QzkwwWiH27M.jpg)
শ্রমিকদের অভিযোগ, শাসকদল ঘনিষ্ঠ ইউনিয়ন তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বেশি মেশিন চালানোর জন্য বাধ্য করছে। এই পরিস্থিতি সুষ্ঠু আলোচনার অভাব এবং সমঝোতার অভাবে তৈরি হয়েছে, যা কর্মহীনতার সুত্রপাত করেছে। শ্রমিকরা এখন বিক্ষোভ করে তাঁদের দাবি তুলে ধরছেন— দ্রুত মিল পুনরায় চালু করা হোক এবং বৈধভাবে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পুজোর আগে এই অনিশ্চয়তা তাঁদের জন্য একটি বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।