নিজস্ব সংবাদদাতা: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ৩টি রাত। প্রতিবাদের ফল এখনও শূন্য। নিরাশা-আশার দোলাচলের মাঝেই চলছে প্রতিবাদের ভাষা। আজ চারদিনে পড়লো জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবনের সামনের ধর্না কর্মসূচী। খোলা আকাশের নীচেই, রোদ-বৃষ্টি গায়ে মেখে জাস্টিস চেয়ে যাচ্ছেন শত শত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তবে সবের মাঝে পাওনা একটাই, স্থানীয় থেকে শুরু করে আশপাশের সাধারণ মানুষ পাশে দাঁড়াচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আজ জুনিয়র ডাক্তারদের চতুর্থ দিন। গতকাল নবান্ন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে আরও বেড়েছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। রাতভর গানে, স্লোগানে মুখরিত ছিল স্বাস্থ্যভবনের সামনের এলাকা।
নবান্নে ২ ঘন্টা জুনিয়র ডাক্তাররা অপেক্ষা করলেও ভেস্তে গেল বৈঠক। সভাগৃহের ভিতরে অপেক্ষা করলেন মুখ্যমন্ত্রী আর সভাগৃহের বাইরে বসে অপেক্ষা করলেন ৩০ জন প্রতিনিধি। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং-এর অনুমতি না মেলায় বৈঠক হয় না গতকাল। মুখ্যমন্ত্রী পরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না। তাই নাকি লাইভ স্ট্রিমিং করতে দেওয়া হয়নি।
তবে মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি মানতে নারাজ চিকিৎসকেরা। কেননা তাঁদের বক্তব্য যে মামলার লাইভ স্ট্রিমিং খোদ সুপ্রিম কোর্ট করছে, সেখানে আর কোনও কিছুর বাধায় থাকে না। আর লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া বৈঠক সম্ভব নয়, এদিন কার্যত ফের একবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। তাই এদিন জনসমর্থন নিয়েই প্রতিবাদ তীব্রতর করেছে ডাক্তাররা।