নিজস্ব সংবাদদাতা: বছর শেষে বাংলায় বাড়ল করোনা আতঙ্ক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন পাঁচ জন। জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জন বেলভিউতে ও তিন জন ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
২০২০ সালের প্রথমদিকে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে। তারপর সারা বিশ্বের জনজীবন একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। করোনা মহামারীর আকার ধারণ করেছিল। সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে করোনার ভয়াবহ স্মৃতি দূরে সরিয়ে নতুন করে জীবনের ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। তার মধ্যে করোনার নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, করোনার নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট কতটা প্রভাব ফেলবে? আবার কি জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক রাজ্য এই বিষয়ে সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। তবে বাংলায় এখনও সেভাবে কোনও সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার এই সাব ভ্যারিয়েন্ট মানুষের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারবে না।
গত সপ্তাহে, NITI আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডক্টর ভি কে পল বলেছিলেন যে ভারতের বিজ্ঞানীরা করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে গবেষণা করছেন।রাজ্যগুলিকে পরীক্ষা করার এবং তাদের নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন যে রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দিল্লি প্রস্তুত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সুধাংশ পন্ত গত সপ্তাহে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, সামনেই বর্ষবরণের উৎসবে দেশ মেতে উঠবে। করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টকে মাথায় রেখে এই বিষয়ে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র শ্বাসকষ্ট, কিডনির সমস্যা এবং মাল্টি-অর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোম (MODS) নিয়ে আগে থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন।