নিজস্ব সংবাদদাতা: আন্দোলনের, রাত জাগার পঞ্চম দিন। স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে এখনও চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। চিকিৎসকদের পাঁচটি দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ১২ তারিখ। সবকিছু ঠিক থাকলেও শেষ মুহূর্তে লাইভ সম্প্রচার না হওয়ায় চিকিৎসকরা বৈঠক বাতিল করেন। নবান্ন সভাগৃহের বাইরেই বসে কেটে যায় গোটা সন্ধ্যে। আজও জুনিয়র চিকিৎসকেরা নিজেদের দাবিতে অনড়। ৩০ জন প্রতিনিধি যাবেই, লাইভ স্ট্রিমিং করতেই হবে আর তাঁদের যে ৫ দফা দাবি রয়েছে তা সরকারকে মানতেই হবে।
গতকাল একটি অডিও ক্লিপ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন স্বাস্থ্য ভবনের চিকিৎসকদের আন্দোলনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাতে শাসকদলের উপর সেই দোষ গিয়ে পরে সেই জন্যেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাল্টা চিকিৎসকেরাও বৈঠক করেন। তারা জানান, ‘কোন দলের মুখপাত্র কি বলল তার প্রশ্নের উত্তর তারা দিতে ইচ্ছুক নন। কোনও ধরনের বার্তা তারা দিতে চান না’।
কুণাল ঘোষের ভাইরাল অডিও ক্লিপ পোস্টকে কেন্দ্র করে বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার রুজু করা হয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। শুক্রবার গড়ফা এলাকা থেকে সঞ্জীব দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করে বিধান নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে চিকিৎসকদের আন্দোলনে আর জি কর হাসপাতালে হামলা চলেছিল। সেই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বিধান নগর পুলিশ স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন মঞ্চে নজরদারির জন্য বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১৪ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দাবি, হইতো তাঁদের ওপর নজর রাখতেই এই ক্যামেরা গুলি বসানো হয়েছে। তাই কর্মবিরতির ৩৫ দিন হলেও, তারা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।