নিজস্ব সংবাদদাতা: এরাজ্যে কোনও বিচার নেই। শুধু দালালরাজ চলছে। সবাই মিলে মরে যাওয়াই ভালো। সাংবাদিকদের সামনে হাহাকার কিশোরী ছাত্রীর পিসির। তিনি জানান, ২০২০ সালে তাঁর নিজের মেয়েও ধর্ষণের শিকার হন। তারপর থেকে লাগাতার হুমকি, শাসানি আসছিল। সেই মানসিক চাপ নিতে না পেরে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিশোরীর পিসি বলেন, কালকে আমার ভাইটা গিয়ে লোকের কাছে কত কাকুতি-মিনতি করেছে। পুলিশ যদি একটু সহযোগিতা করত তাহলে এই পরিণাম হতো না। তাহলে আমাদের মেয়েটাকে জীবিত অবস্থায় পেতাম। পুলিশের গাফিলতিতে ছোট্ট বাচ্ছাটাকে আর পেলাম না। আমরা মানুষ রূপে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা আর মানুষ নেই। আক্ষেপের সুরে কিশোরী নির্যাতিতার পিসি বলেন, "কাল আমার ভাইকে একবার জয়নগর থানা থেকে বলছে এটা কুলতলি থানার আন্ডারে। আবার কুলতলি থানা থেকে বলছে এটা জয়নগর থানার আন্ডারে। আন্ডার আন্ডার করতে করতে আজকে আমার ভাইয়ের মেয়েটাকে পুরো থেঁতো করে দিল। পুরো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিল। নরপিসাচগুলো পুরো কামড়ে কামড়ে খেয়েছে একদম।"
জানা গিয়েছে, জয়নগর থানার ক্লাস ফোরে পড়া এক ছাত্রী টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ জানাতে গেলে, তা নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পরে বলা হয়, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। এরপর বাড়ির কাছে একটা জলাজমি থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নাবালিকার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ছোট্ট বাচ্চাকে নরপিসাচগুলো কামড়ে খেল! হাহাকার জয়নগরের ছাত্রীর পিসি
জয়নগরে মৃত ছাত্রীর পিসির বলেন, আমার ছোট্ট মেয়েটাকে নরপিশাচগুলো কামড়ে কামড়ে খেলো।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতা: এরাজ্যে কোনও বিচার নেই। শুধু দালালরাজ চলছে। সবাই মিলে মরে যাওয়াই ভালো। সাংবাদিকদের সামনে হাহাকার কিশোরী ছাত্রীর পিসির। তিনি জানান, ২০২০ সালে তাঁর নিজের মেয়েও ধর্ষণের শিকার হন। তারপর থেকে লাগাতার হুমকি, শাসানি আসছিল। সেই মানসিক চাপ নিতে না পেরে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিশোরীর পিসি বলেন, কালকে আমার ভাইটা গিয়ে লোকের কাছে কত কাকুতি-মিনতি করেছে। পুলিশ যদি একটু সহযোগিতা করত তাহলে এই পরিণাম হতো না। তাহলে আমাদের মেয়েটাকে জীবিত অবস্থায় পেতাম। পুলিশের গাফিলতিতে ছোট্ট বাচ্ছাটাকে আর পেলাম না। আমরা মানুষ রূপে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা আর মানুষ নেই। আক্ষেপের সুরে কিশোরী নির্যাতিতার পিসি বলেন, "কাল আমার ভাইকে একবার জয়নগর থানা থেকে বলছে এটা কুলতলি থানার আন্ডারে। আবার কুলতলি থানা থেকে বলছে এটা জয়নগর থানার আন্ডারে। আন্ডার আন্ডার করতে করতে আজকে আমার ভাইয়ের মেয়েটাকে পুরো থেঁতো করে দিল। পুরো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিল। নরপিসাচগুলো পুরো কামড়ে কামড়ে খেয়েছে একদম।"
জানা গিয়েছে, জয়নগর থানার ক্লাস ফোরে পড়া এক ছাত্রী টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ জানাতে গেলে, তা নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পরে বলা হয়, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। এরপর বাড়ির কাছে একটা জলাজমি থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নাবালিকার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।