নিজস্ব প্রতিবেদন : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সন্দীপ ও অভিজিৎ অত্যন্ত প্রভাবশালী, এবং জামিন পেলে তারা সাক্ষীদের প্রভাবিত ও প্রমাণ লোপাট করতে পারেন।সিবিআই অভিযোগ করেছে যে, অভিযুক্তরা খুন ও ধর্ষণের ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেছেন এবং মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়েছেন। সিবিআইয়ের মতে, এটি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।
অভিজিতের আইনজীবী জামিনের দাবি জানিয়ে বলেছেন, "আমার পালিয়ে যাওয়ার অবস্থা নেই। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট।" তিনি দাবি করেন, সিবিআইয়ের অভিযোগগুলি জামিনযোগ্য। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীও একই যুক্তি তুলে ধরেন এবং বলেন, "জামিন দিলে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।" সিবিআই জানায়, তারা তদন্তের বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ করতে প্রস্তুত রয়েছে। মামলাটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে, এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জনমত কীভাবে গঠন হয়, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, সঞ্জয় রাইয়ের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন যে, সঞ্জয় জেনারেল ওয়ার্ডে থাকতে চান কারণ তিনি একাকিত্ব বোধ করছেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী পাল্টা প্রশ্ন করেন, "সঞ্জয়ের জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যাবেন না, তা কী গ্যারান্টি দিতে পারেন?" অভিজিতের আইনজীবী বলেন, "যদি পাবলিক ডোমেইনে কথা বলছেন, তাহলে রিমান্ড অর্ডারে কেন সব তথ্য দিচ্ছেন?" উল্লেখ্য, সিবিআই জানিয়েছে যে, তারা জেলে তিন দিন ধরে সঞ্জয় ও অভিজিতকে জেরা করেছে, কিন্তু উভয়েই অসহযোগিতা করেছেন। এই অবস্থায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ আরও জটিল হয়ে উঠছে, এবং বিষয়টি এখন আদালতের নজরে রয়েছে। তদন্তের ফলাফলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।