নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি করে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত কমিটি দুই পক্ষের বয়ান শুনে ইতিমধ্যে রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ৩টি ক্যাটিগরিতে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে রাখা হয়েছে। আরজি করে ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ রয়েছে। ১৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির তরফে। সেই রিপোর্টে ৫৯ জনের মধ্যে ৪০ বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আরজি করে তদন্ত কমিটি এই রিপোর্ট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জমা পড়েছে। অভিযুক্ত ৫৯ জনের মধ্যে অধিকাংশই ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ ও জুনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন। রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ৪০ জনের বিরুদ্ধে পুরোপুরি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। বাকি ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ অনেকাংশে পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ৪০ জনের বিরুদ্ধে পুরোপুরি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের পরেই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের থ্রেট কালচার প্রকাশ্যে এসেছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা এই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সরব হয়েছেন। যেখানে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, সেই আর জি কর মেডিক্য়ালে থ্রেট কালচারের অভিযোগে ৫৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কমিটি। অন্যদিকে, বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্য়াল কলেজের অধ্য়ক্ষ করবী বড়াল, প্রাক্তন ডিন কৌশিক কর এবং সহকারী অধ্য়াপক ও প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহার বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে সরব হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ।