নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে আরও একাধিক ইস্যুতে সাম্প্রতিককালে ক্রমেই চড়েছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের কখনও মানতে চায়নি রাজ্য, কখনও আবার রাজ্যকে ঘুরিয়ে আইন বুঝিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিকে এরই মধ্যে বিকাশভবনে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রারদের ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই বৈঠকে যোগ না দিতে রাজভবন থেকে নির্দেশ যায় উপাচার্যদের কাছে। তাতে আরও বাড়ে সংঘাত। যদিও শেষ পর্যন্ত হয় ব্রাত্যর বৈঠক। সূত্রে খবর, সেখানে গরহাজির ছিলেন ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। তার মধ্যে ১৫ জনকে শোকজ করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। এরই মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যপাল তথা আচার্যের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন ব্রাত্য।
ব্রাত্য বলেন, "পড়ানোর সঙ্গে যাঁরা কোনওকালেই যুক্ত ছিলেন না, এমন লোককে উপাচার্য হিসাবে কাজ করার তিনি অধিকার দিচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগের বিধি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে নেই। এদিকে এই আইনই কিন্তু রাজ্যপালকে আচার্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, তাঁকে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা দেয়। এমনকী ইউজিসির নির্দেশিকা যার কথা উনি সকাল সন্ধ্যা বলছেন, তাতেও নেই। অন্তবর্তী উপচার্যের কথা কোনও বিষয়ই উল্লেখ করা নেই। অর্থাৎ তিনি ইউজিসিকে অমান্য করছেন, কোর্টকে তিনি অমান্য করছেন। রাজ্য সরকারকে তো করছেনই, মুখ্যমন্ত্রীকেও অগ্রাহ্য করছেন। মাননীয় রাজ্যপাল আসলে আইন দিয়ে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে গুলিয়ে দিয়ে, পুরনো রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান রায়ের ঘটনার প্রসঙ্গে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। উনি একটা পুতুল খেলা খেলছেন। এই পুতুল খেলা সম্পূর্ণ বেআইনি।"
ব্রাত্য আরও বলেন, "উনি বলছেন উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন আধিকারিক নাকি ওনার নিযুক্ত করা পাঁচজন উপাচার্যকে হুমকি দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন। এটার মতো মিথ্যা কথা আর হয় না। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এই ধরনের কোনও কাজ আমাদের দফতরের কোনও আধিকারিক করেননি।"