১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সায়নী ঘোষের কাছে যায়নি তো?

ভোটের আগে রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে এসেছে সায়নী ঘোষের নাম। তিনি তৃণমূলের যুব সভানেত্রী। তাঁকে ইডি ডাকার পর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর প্রসঙ্গ উঠছে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
sayanighosh

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। এর আগে গত শুক্রবার তাঁকে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে আবার সায়নীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সায়নীকে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিসহ তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

ইডির জানিয়েছে যে মায়ের কাছ থেকে সায়নী ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন এমনটাই শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে জানিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে মায়ের উপার্জনের উৎসের বিষয়েও খোঁজ নিতে চান আধিকারিকরা। সায়নীর বাবা নির্মাণ ব্যবসায়ী। তদন্তকারীরা দাবি করছেন যে গত তিন বছরে সায়নীদের পারিবারিক উপার্জন দ্রুত মাত্রায় বেড়েছে। বাবার ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে। এবার সিবিআইও সায়নীর সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে। প্রয়োজনে সায়নীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। তবে, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে সায়নী সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ বা অভিযোগ তাঁরা পাননি এখনও।

মূলত যাঁরা নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত, তাঁদের নিয়েই তদন্ত করছে সিবিআই। দুর্নীতির টাকা কোথায় গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। তদন্তকারীরা দাবি করছেন যে নিয়োগ দুর্নীতিতে যে টাকা তোলা হয়েছে, তার কোনও অংশ সায়নী পেয়েছেন কিনা, তা নিয়েই জানতে চাইছে ইডি। শুক্রবার যখন সায়নী আসেন ইডির অফিসে তখন সাংবাদিকদের সরাসরি তিনি জানান যে তিনি ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করবেন তদন্তে। অভিযোগ তুলেছিলেন যে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে। তবে তিনি এও বলেন যে যতবার ডাকবে ততবার আসবেন তিনি। আর জিজ্ঞাসাবাদে কুন্তলের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি নাকচ করে দেন।

তবে শুধু সায়নী নন, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির হদিস পেতে আরও কয়েকজন যুব নেতা-নেত্রীকেও তলব করতে পারে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সায়নীর সঙ্গে ধৃত কুন্তলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করছে ইডি। কলকাতার বাসিন্দা আরও এক ঝাঁক যুব নেতা-নেত্রীও কুন্তলের ঘনিষ্ঠ, যাঁদের কাছে দুর্নীতির টাকা গিয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন। তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগের কালো টাকার একাংশ টলিউডে কর্মী সংগঠনের নির্বাচনেও কুন্তল খরচ করেছিলেন।