অভিষেককে তলব ইডির! বাংলায় শুরু রাজনৈতিক খেলা

অভিষেককে ইডি তলব করার পরে বাংলায় আবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।

author-image
Aniruddha Chakraborty
আপডেট করা হয়েছে
New Update
111

file pic

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। রবিবার অভিষেক নিজেই তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছেন। সেদিনই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক। এই কমিটির সদস্য ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদও। ফলে তাঁরও সেই বৈঠকে থাকার কথা। অথচ সেদিনই ইডির ডাক। অভিষেকের দাবি, কেন্দ্র এই জোটকে ভয় পেয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এগিয়ে দিচ্ছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু রাজনীতির দড়ি টানাটানি। তৃণমূলের দাবি, ইন্ডিয়া জোটকে ভয়ের পাশাপাশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এসব করাচ্ছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এজেন্সিগুলো তদন্ত করে। এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা থাকে না। আবার সিপিএমের দাবি, তৃণমূল-বিজেপি হাত মিলিয়ে লোক দেখানো ‘ডাকাডাকি’ চালাচ্ছে।

এই তলব প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঠিক কোন দিনগুলোকে বেছে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকছে, তা লক্ষ্য করলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সারা দেশের মানুষ বিজেপিকে হারাতে যে বদ্ধপরিকর, ওরা বুঝে গিয়েছে। বিজেপি বিরোধী জোট পটনায় ১৭টা দল নিয়ে শুরু হয়েছিল, বেঙ্গালুরুতে ২৬ এবং মুম্বইয়ে ২৮ হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও বাড়বে। ইন্ডিয়া জোট যত শক্তিশালী হচ্ছে, তত বিজেপি বিদায় ঘণ্টা শুনে কাঁপছে।" 

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ডাকবে কিন্তু যাবে না, তা কতবার চলবে? আবার তার মাঝে বিদেশেও চলে গেলেন। ইডি-সিবিআই কি আদৌ অ্যাকশন নিতে আগ্রহী নাকি ডাকব আসবে-আসবে না এটাই চলবে? এখন এমন একটা দিনে ডাকল যেখানে অভিষেকের বলার সুযোগ থাকবে ওদের মিটিং আছে। বিজেপির লোক দেখানো ভাব যেন করছি কিছু।" 

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "ইডি, সিবিআই নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তৃণমূল বলছে, এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত। তদন্তকারী সংস্থা কখন, কাকে ডাকবে সেটা তো তাদেরই বিষয়। আর আমরা তো চাই ওই জোট আরও শক্তিশালী হোক। ভারতবর্ষের কোথায় কী জোট হচ্ছে আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই বাংলা থেকে এই জোট আরও শক্তিশালী হোক। আরও ঐক্যবদ্ধ হোক। পর্দার আড়াল থেকে নয়। সিপিএমকে বলব, মুখোশের আড়ালে না থেকে সামনে এসে দাঁড়াক। কংগ্রেস, ছোট ভাই আইএসএফকে নিয়েও ঐক্যবদ্ধ হোক।"