নিজস্ব সংবাদদাতা: পিছিয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার রায়দান। কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ''এই মামলার ক্ষেত্রে মামলাকারী এবং ED অতি স্পর্শকাতর হয়ে পড়ছে। চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতার রাস্তায় বসে আছে, এটাই বাস্তবচিত্র''। বিচারপতি বলেন, ''লিপস এন্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ইডির এক আধিকারিকের ডাউনলোড করা ১৬ টি ফাইলের তথ্য দেখে তবেই রায়দান দেওয়া হবে''।
ইডির তরফে মিথিলেশ মিশ্র এবং কলকাতা পুলিশের পক্ষে অমিতাভ সিনহা রায় সিএফএসএল-র কাছ থেকে ফাইলের তথ্য সংগ্রহ করবেন এমন নির্দেশ দেন বিচারক। বিচারপতি প্রশ্ন করেন যে ১৬টি ফাইলে কী আছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন যে যা আছে সেগুলি ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু কাল যদি আবার তল্লাশি হয়, তখন যদি আধিকারিকরা সেগুলি নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করে তখন কী হবে? যে দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে সেটা শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং যে হোস্টেল খুঁজে দেখা হচ্ছিল সেটাও নাকি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেল। ফলে আশঙ্কা তৈরী হচ্ছে। ছাত্র তালিকায় ছেলেদের নাম আর মেয়েদের হোস্টেল খুঁজে দেখা হচ্ছিল। বিচারপতি ইডিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ''বড় আর্থিক দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, নগদ টাকা, গয়না উদ্ধার হচ্ছে, চার্জশিট কেন পেশ করতে পারছেন না?'' এতেই ইডির আইনজীবী বলেন যে ইডি আধিকারিক ভুল করেছেন। তিনি লক্ষ্মণরেখা পার করেছেন। কিন্তু তাঁর কোনও অসত্ উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে সংস্থা।