নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যজুড়ে বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় চলছে। সক্রিয় রয়েছে ইডি এবং সিবিআই। এরই মাঝে ফের কয়লা পাচারকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বুধবার দিল্লির সদর দফতরে সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
কয়লা পাচার মামলায় এই প্রথম নয়, এর আগেও অনুপ মাঝিকে বারবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে গোয়েন্দাদের ডাকে কোনও দিনই সাড়া দেননি লালা। প্রতিবারই কোনও না কোনও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র ২০২১ সালে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তিনি। তবে তাতেও হাল ছাড়েননি গোয়েন্দারা। ফের তাঁকে নিজেদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল ইডি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে যুক্ত হয় সিবিআই। তারপরই উঠে আসে লালার নাম। কোমর বেঁধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর বারংবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হলেও তিনি হাজিরা দেননি। ২০২১ সালের মার্চ মাসে যখন কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন তখন তাঁর কাছে ছিল সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ। জিজ্ঞাসাবাদ করলেও গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়ে দেয় আদালত। যদিও তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর এবার ২ বছর পর ফের লালাকে তলব করল আরও এক তদন্তকারী সংস্থা। জানা গেছে যে লালার একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ নথি উদ্ধার করা হয়। আর সেই নথি থেকেই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর জেরেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে তৎপর হয়ে উঠল ইডি। যদিও এবারে লালা তলবে সাড়া দেবেন কিনা সেই নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে। আগের মতো এবারও হাজিরা এড়িয়ে গেলে লালার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে ইডি।
কয়লা পাচারকাণ্ডে এর আগে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককেও দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে পাঠায় ইডি। গত ২৭ জুন কয়লা পাচারকাণ্ডে তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়। মলয় ঘটকের পাশাপাশি কয়লা দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাঝিকেও দিল্লিতে তলব করে ইডি। ২৮ জুন তলব করা হয় লালাকে। তদন্তকারীরা মনে করছেন যে অনুপ মাঝির সঙ্গে যোগ রয়েছে মন্ত্রী মলয় ঘটকের।