আন্দোলনের জেরে চিকিৎসায় গাফিলতি! দিদির সামনে ছটফট করতে করতে প্রাণ গেল ভাইয়ের

চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ৩৪ বছরের যুবক দীপক চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, জরুরি অবস্থায় ভর্তি না করার ফলে মৃত্যু হয়েছে।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Protest

নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ সামনে এসেছে, যেখানে ৩৪ বছরের যুবক দীপক চৌধুরী প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারের দাবি, জরুরি অবস্থায় ভর্তি নিলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন।

Protest

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দীপক চৌধুরী গতকাল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসকেরা তাকে পরীক্ষা করে ইনজেকশন দিয়ে ছেড়ে দেন। বুধবার সকালে আবারও বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে আউটডোরে নিয়ে আসা হয়। এ সময় চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে ভর্তি হওয়ার কথা বলেন, কিন্তু দীপকের দিদি, যিনি হাসপাতলে আয়ার কাজ করেন, ভাইকে ভর্তি নেওয়ার জন্য বললেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।

Protest

হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর দীপক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, তারা বারংবার চিকিৎসকদের ভর্তি হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক কুন্তল সাহা জানান, "রোগীটি নিজেই হেঁটে এসেছিল এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট না আসার কারণে ভর্তি করা হয়নি।"

Protest

এ ঘটনায় চন্দননগর থানায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। মৃতের দিদি রীনা চৌধুরী বলেন, "হাসপাতালে ভর্তি করলে হয়ত ভাইটা আরও কয়েক দিন বেঁচে যেত।" তিনি এবং তার বান্ধবী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।"এ পরিস্থিতিতে আরজি কর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চিকিৎসায় গাফিলতির প্রশ্ন উঠছে, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও এটি অস্বীকার করেছে।