নিজস্ব সংবাদদাতা: শিরদাঁড়া বিক্রি নেই! টিশার্টে এটাই লেখা ছিল। যার জেরে ময়দান থানায় প্রায় চার ঘণ্টা তাঁকে আটকে রাখা হয়। কিন্তু তারপরেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। 'উই ডিম্যান্ড জাস্টিস' লেখা ব্যাজ পরে গেলেন কলকাতা পুরসভায়। তিনি বলেন, এই ব্যাজ বা প্রতীকী অনশনের ব্যাজ পরে তিনি ভুল কিছু করেননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার চারঘণ্টা পর যখন তাঁকে ছাড়া হয়, তিনি সরাসরি অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন। আন্দোলনকারী ও অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি দেখা করেন।
অন্যদিকে, তিন দফা দাবিকে সামনে রেখে কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকরা বৈঠকে বসেন। কলকাতা পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে চিকিৎসকেরা মূলত তিনটি দাবিকে সামনে রেখেছেন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, চিকিৎসক তপোব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ১৫১ ধারা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি তপোব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলে পুরসভাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই তিন দাবির পাশাপাশি পুরসভার চিকিৎসকরা ‘আমরা সবাই প্রতিবাদী’ ব্যাজ পরে বুধবারদিন কাজ করেন। কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার সময় পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।