মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এই মুহূর্তের বড় খবর

গত ২৭ জুন ভোটের প্রচারের মধ্যে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আহত হন তিনি। পরবর্তীতে আর সশরীরে প্রচারে যেতে পারলেন না তিনি।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
ff

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার বিভ্রাট নিয়ে তদন্ত করবে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বেসরকারি ওই হেলিকপ্টারের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশের আকাশে বিমান, হেলিকপ্টার সংক্রান্ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বা বেনিয়ম হলে আকাশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ তদন্ত করে। এই সংস্থা জানিয়েছে যে ঘটনার দিন ক’টার সময়ে হেলিকপ্টার উড়েছিল, তার ওয়েদার রেডারে কোনও আগাম সতর্কতা ছিল কি না, ক’টার সময়ে হেলিকপ্টার মুখ ঘুরিয়ে অন্যত্র চলে যায়, সে সব তথ্য জমা থাকে ডিএফডিআর-এ।

ভোটের আগে প্রচার শেষ করে গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ির সভাস্থল থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা পৌঁছনোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু মাঝপথে দুর্যোগের মুখে পড়ে মুম্বইয়ের একটি সংস্থা থেকে ভাড়া নেওয়া ওই হেলিকপ্টার। ঝড়-বৃষ্টিতে বিপজ্জনকভাবে দুলতে থাকে হেলিকপ্টার। বেগতিক দেখে হেলিকপ্টারের দুই পাইলট শালুগাড়ায় সেনাবাহিনীর হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। তারপরেই জানা যায় যে খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুলুনিতে এবং শালুগাড়ায় সিঁড়ি না থাকায় হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ও হাঁটুতে আঘাত পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই ঘটনার কথা জানতে পেরে সমস্ত তথ্য চায় ডিজিসিএ। দু’টি প্রশ্ন ওঠে। এক, ওই আধুনিক হেলিকপ্টারে ওয়েদার রেডার রয়েছে। কোনও গন্তব্যে রওনা হওয়ার আগে আকাশপথে কোথাও দুর্যোগ রয়েছে কি না, তা আগেভাগে জেনে নিতে হত পাইলটদের। তাহলে কি হেলিকপ্টারের ওয়েদার রেডার মারফত সেই দুর্যোগের কথা জানা যায়নি? জানা গিয়ে থাকলে কেন ঝুঁকি নিয়েছিলেন পাইলটেরা? দ্বিতীয় প্রশ্ন, মাঝপথে কোনও দুর্যোগে পড়লে সাধারণত যেখান থেকে রওনা হয়েছিল হেলিকপ্টার সেখানেই ফিরে যায়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি কেন? 

ডিজিসিএ কর্তারা জানিয়েছেন যে ওই ঘটনার পরে কপ্টারের দুই পাইলটের ভূয়সী প্রশংসা করে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেই চিঠি নিয়েও তদন্ত হবে। আসলে এই ধরনের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে সামান্য গাফিলতির সন্দেহ থাকলে পাইলটদের ডিউটি থেকে বসিয়ে তদন্ত চালানো হয়। এবার তদন্ত শেষ হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে কর্তাদের অভিমত, অনেক সময়ে তুলনায় কম খারাপ আবহাওয়া থাকলেও ঝুঁকি নেন পাইলটেরা। মাঝ আকাশে দুম করেই সেই আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অন্যত্র যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। দ্বিতীয়ত, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়লে যেখান থেকে ছেড়েছে, সবসময় সেখানেই যে ফিরে আসতে হবে এমনটাও হয় না। আকাশে পাইলটই যেটা ঠিক বলে মনে করবেন, সেটাই করবেন।