জলের নিচে চলে যাচ্ছে মন্দির, ডিসিল্টিং অভিযান পুরসভার

জল জমছে বেলগাছিয়ার পরেশনাথ জৈন মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। সেই সমস্যা এড়াতেই পুরসভার উদ্যোগে চলছে পলি উত্তোলন।

author-image
Poulami Samanta
New Update
123

নিজস্ব সংবাদদাতা : বেলগাছিয়ার ২০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যশালী পরেশনাথ জৈন মন্দিরটিকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে বাঁচাতে মন্দিরের চারপাশে একটি বিশেষ ডিসিল্টিং অভিযান শুরু করেছেন কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ । এটি বেলগাছিয়ার বাসিন্দাদের জল জমার থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে পারে। মাননীয়া মুখমন্ত্রী নিজে গত বছর ৫ই সেপ্টেম্বর এই মন্দিরে একটি অনুষ্ঠানে আসেন ও তখনই মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে তাঁকে এই সমস্যার কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী মেয়র কে দায়িত্ব দেন এই সমস্যা সমাধানের জন্য। মেয়র পৌরসভার নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের  নির্দেশ দেন পুরো ব্যাপার টা খতিয়ে দেখতে। প্রয়োজনে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন তৈরির কথা ভাবেন যার আনুমানিক খরচ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। পরবর্তী কালে মেয়র পরিষদ তারক  সিং মহাশয়ের নির্দেশে পৌরসভার নিকাশি বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা সার্ভে করে দেখেন যে  মাটির নিচের পয়ঃনিষ্কাশন লাইনগুলিতে এতটাই পলি জমে আছে  যে তাদের বৃষ্টির  জল বহন করার ক্ষমতা একেবারে কমে গিয়েছে । সার্ভে রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই পৌরসভা সিদ্ধান্ত নেয় খুবই দ্রুত পলি উত্তোলন শুরু করবার।  আধিকারিক জানান যে দুটো ম্যানহোল ডিসিল্টিং মেশিন , ৭টা  বাকেট মেশিন এবং জেটিং মেশিন ও ব্লো-ভাক মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ার জন্য । বর্তমানে তারা মন্দিরের সাথে সংযুক্ত তিনটি নর্দমা লাইন থেকে পলি পরিষ্কার করছেন । ও আরো প্রায় ১৫দিন লাগবে এই কাজ শেষ হতে। এই মন্দির টি রাস্তা থেকে প্রায় দেড় ফুট নিচে ও তাই মন্দির এর ভিতরে তাদের নিজস্ব ড্রেনেজ সিস্টেম ও তৈরী করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ডিসিল্টিং এর কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বেলগাছিয়া বস্তি ও মন্দির সংলগ্ন এলাকায় জল জমার সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে ও পাম্পিং স্টেশন এর দরকার না ও পড়তে পারে। তাতে অনেক টাকা বেঁচে যাবে পুরসভার। মন্দির থেকে দত্তবাগান পাম্পিং স্টেশন পর্যন্ত এক কিলোমিটার এর  পুরো ড্রেনেজ লাইন-এ পলি উত্তোলনের কাজ চলছে ।