নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় ২৬০ দিন ধরে জারি রয়েছে আন্দোলন। জানুয়ারিতে শুরু হওয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলনে এতটুকু টলেনি মমতার সরকার। তাই ডিএ আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এই আবহে ডিএ আন্দোলনকারীরা গত ২ দিন কর্মবিরতি পালন করেছেন। পুজোর পর এই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে চলেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এরই মাঝে জানা গিয়েছে যে পুজোর পর রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে পারেন তাঁরা।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে দাবি পূরণ না হলে পুজোর পর লাগাতার ধর্মঘট চলবে কলকাতার বুকে। তিনি বলেন, 'কালীপুজোর পর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে রাজভবনের দক্ষিণ দিকের গেটের বাইরে অবস্থান শুরু করা হবে। একইসঙ্গে নবান্নের বাইরেও আন্দোলন চালানো হবে'। ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজ্যপালের নেতৃত্বে সরকারের সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার সময় চাইতে পারেন তাঁরা, এমনটাই জানান ডিএ আন্দোলনের অন্যতম 'মুখ' ভাস্কর ঘোষ। এই মর্মে রাজভবন ও নবান্নে চিঠি পাঠানো হবে তাঁদের পক্ষ থেকে। এদিকে ডিএসহ চার দফা দাবি না মানা হলে সরকারকে 'প্রস্তুত থাকতে' হুঁশিয়ারি দিলেন ভাস্কর বাবু। প্রায় ৯ মাস ধরে চলতে থাকা আন্দোলন যে একটুও দমে যাবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার এবং বুধবার অর্থাৎ ১০ এবং ১১ অক্টোবর কর্মবিরতির ডাক দেয় যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ দাবি করেছেন যে তাঁদের সেই কর্মসূচি পুরোপুরি সফল হয়েছে। এদিকে আবার তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন দাবি করছে যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা কর্মবিরতি ব্যর্থ। ১০ এবং ১১ অক্টোবর প্রায় সব সরকারি কর্মীই নাকি যে যাঁর কাজে যোগ দিয়েছেন। এই আবহে দুই পক্ষ নিজেদের মতো করে দাবি করে যাচ্ছে এই ২ দিনের বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে।
তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডিএ আন্দোলনকারীরা পাল্টা দাবি করছে যে কর্মবিরতি আর ধর্মঘট এক নয়। ১০ এবং ১১ তারিখ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়। অর্থাৎ, অংশগ্রহণকারী আন্দোলনকারীদের অফিসে না আসতে বলা হয়নি। বরং অফিসে গিয়ে কাজে শামিল না হতে বারণ করা হয়। তাই সেই দিক থেকে দেখলে, ডিএ আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি এখানে একটুও ব্যর্থ নয়।