নিজস্ব সংবাদদাতা: আগে থেকেই আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতর (International Weather Forecast) পূর্বাভাস দিয়েছিল যে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Cyclone Mocha)। শুধু যে বৃষ্টিতে বাংলা ভাসবে তা নয়, বন্যা পরিস্থিতিও (Flood) সৃষ্টি হতে পারে। লাল সতর্কতা (Red Alert) জারি করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশের উপকূলে (Bangladesh Coastal Zone) আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এবার এই ঘূর্ণিঝড় আসার ইঙ্গিত দিল আইএমডির পূর্বাভাস (IMD)। তবে আইএমডির টুইটে স্পষ্ট করে বলা নেই যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। আইএমডি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে ৬ মে। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার দুদিন পর অর্থার ৮ মে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা সেটা নিয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হলে সেটা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ভারতীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে।
আগে গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (Global Forecast System) প্রাথমিকভাবে জানায় যে ভারতের উপকূলের দিকে ঝড়ের অভিমুখ থাকবে। পরে গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম জানায় যে ৮ মে ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার পর তা উত্তর দিকে শক্তি বাড়িয়ে এগিয়ে এসে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। ফলে ১২ মে মায়ানমারের আরাকানা প্রদেশে উপকূল আঘাত হানতে পারে। ফলে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই। আইএমডি যা জানিয়েছে তার সঙ্গে যদি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা মেলে তাহলে ঘূর্ণিঝড় মোচা আমফানের মতো রূপ নিয়ে ভারতীয় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে। আমফানের ক্ষেত্রেও প্রাথমিকভাবে বলা হয় ঝড়টি মায়ানমার বা বাংলাদেশের দিকে যাবে। কিন্তু পরে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়ে। এবারও মে মাস পড়তেই ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কতটা শক্তি সঞ্চয় করে আসবে মোচা সেটাও একটা চিন্তার বিষয়। তবে ঝড়ের ব্যাপারে স্পষ্ট পূর্বাভাস পেতে গেলে আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নেই।