সম্মতিতে সহবাস ধর্ষণ নয়! ১৪ বছর পর রায় ঘোষণা আদালতের

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগের ১৪ বছর পর রায় ঘোষণা করল আদালত।বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মানেই 'ধর্ষণ' নয়।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
KOLKATA HC

কলকাতা হাইকোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা : দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেলে যদি নিজেদের সম্মতিতে সহবাস করে তাহলে তাকে ধর্ষণ বলা যায় না! একটি মামলার রায় ঘোষণায় এমনই জানালো কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ দায়ের করার ১৪ বছর পর করা হল রায় ঘোষণা।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মানেই 'ধর্ষণ' নয়।  সহবাসের পর কোনো কারণে দূরত্ব তৈরি হলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের সম্মতিতে সহবাস করলে সেটা ধর্ষণ বলা যায় না।

প্রসঙ্গত, ডানকুনি থানা এলাকায় বিয়ের কথা বার্তা হয় দুই পরিবারের মধ্যে। পারিবারিক সখ্যতা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে  সম্পর্কে জড়ায় ছেলেটি এবং মেয়েটি।  ঘটনাটি ২০০৯ সালের।  এরপর ছন্দ পতন ঘটে যখন মেলামেশার পর যুবকটি অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে কর্মসূত্রে গোয়ায় চলে যায়।  এবার যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেই তরুণী ডানকুনি থানায় যুবক ও তার বাড়ির লোকোদের বিরদ্ধে 'বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণে'র অভিযোগ দায়ের করেন। যুবকের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তরুণীর এফআইআরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে যুবকের পরিবার। সেই মামলারই শুনানি শেষে হল রায় দান। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তার নির্দেশে জানান, তরুণীর অভিযোগের আইনি বৈধতা নেই। যুবকের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও বাতিল করে দেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে নিজেদের সম্মতিতে যদি শারীরিক সম্পর্ক গড়েন, সেটা ধর্ষণ বিবেচিত হতে পারে না।