নিজস্ব সংবাদদাতা : মঙ্গলবার জানা যাবে গ্রাম বাংলার রায়। কার দখলে যাবে পঞ্চায়েত? সকাল থেকে চলছে ভোট গণনা। কড়া নিরাপত্তায় কাউন্টিং শুরু হয়েছে। বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিললেও ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে হচ্ছে গণনা। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। জেলায় জেলায় অশান্তিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কিন্তু কী পরিস্থিতি শহরের? ভোটের আঁচে সরগরম কলকাতাও। চলছে রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, একে অপরকে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। নির্বাচনের কারণে বড় কোনো কর্মসূচি তেমন ভাবে শহরে দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে ট্রাফিক জ্যাম হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরে বেলার দিকে যদি কোনো কর্মকাণ্ড থেকে থাকে শহরে সেক্ষেত্রে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে তেমন কোনো খবর নেই। টালা থেকে টালিগঞ্জ, শ্যামবাজার থেকে বেহালা সরশুনা সব দিকেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে খবর।
জেলায় জেলায় গণনা চলছে। শহরে তেমন কোনো বড় কর্মসূচি নেই কোনো দলেরই। ফলে রাস্তা ফাঁকা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন যানজট সৃষ্টির সম্ভাবনা কম। সপ্তাহের দ্বিতীয় ব্যস্ততম দিন হওয়ায় স্কুল-অফিসের কারণে সকালে যান চলাচলের গতি কিছুটা মন্থর থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর ট্রাফিক বিভাগ। বাইক চালকদের হেলমেট পরে বাইক চালানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বার বার। এছাড়াও সিগন্যাল দেখে রাস্তা পার হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যস্ততার কারণে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সিগন্যাল খোলা অবস্থায় ছুটোছুটি করে রাস্তা পারাপার চলে। এক্ষেত্রে মুহূর্তেই ঘটতে পারে বিপদ। সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। উড়ালপুলগুলিতে রয়েছে বাড়তি সতর্কতা। অনেক সময় উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জা বা অন্য কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সেক্ষেত্রে ব্যাহত হয় যান চলাচল। তবে, উড়ালপুলে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা। রোদের দেখা মিললেও তেজ তেমন নেই। বৃষ্টি হলেও হতে পারে। বৃষ্টিতে যানজটের প্রবল সম্ভাবনা। জায়গায় জায়গায় খানাখন্দ, কাদা। বৃষ্টিতে চারিপাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় দৃশ্যমান্যতা কম থাকে। গাড়িও ধীর গতিতে চলাচল করে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার দিনটিতে খুব একটা বাধা সৃষ্টি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।