নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেও শান্তি যেন এখনও অধরা। রাজ্য-রাজ্যপাল-কমিশন সংঘাত বাড়ছে। নির্বাচন কি বাতিল হতে পারে? রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কাছে যে ১০ প্রশ্নের তালিকা পাঠিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তার জবাব এল।
রাজ্যপাল মূলত চিঠিতে জানিয়েছিলেন যে তার কাছে অনেকেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতেই পুনরায় নির্বাচন পরিচালনা করা হোক। সেক্ষেত্রে কী ভাবছেন কমিশনার জানতে চান রাজ্যপাল। রাজীব সিনহা চিঠির উত্তরে রাজ্যপালকে জানান এহেন দাবি করছে কিছু মানুষ। স্পর্শকাতর এলাকায় ভোট পদ্ধতি নিয়ে তাঁরা এই মতামত ব্যক্ত করেছেন। কমিশন এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ২৫২টি এফআইআর দায়ের করেছে। প্রতিটি অভিযোগের তদন্তও করছে পুলিশ। কমিশনার বিশদে আরো জানান যে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪২ শতাংশ বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও গতকাল এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে বিরোধীরা এবার সম্পূর্ণ মনোনয়ন করতে পেরেছে। কোথাও যেন মিলে যাচ্ছে সুর।
পুনর্নির্বাচন নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল, সাড়ে ৪ হাজার স্পর্শকাতর বুথের মধ্যে পুনর্নির্বাচন হয়েছে মাত্র ৬৯৭টিতে। সবকটি স্পর্শকাতর বুথেই পুনরায় ভোটের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন রাজ্যপাল। যদিও রাজীব সিনহা মনে করছেন, পুনরায় ভোট করানোর ক্ষেত্রে কতকগুলি বিষয় ভেবে দেখার আছে।এর একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।সব রকমের ভোট গ্রহণ সংক্রান্ত কাগজ পরীক্ষা করে অবজারভারদের মতামত নিয়ে যখন নিশ্চিত হওয়া যায় ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে, তখনই পুনরায় ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এবারও তাই হয়েছে। ফলে কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন ভোট গণনার সময় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয়নি। রাজ্যপালকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আরো জানিয়েছেন যে ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে রাজভবন থেকে ২ হাজার অভিযোগ জমা পড়ে। ১৭৭ টি অভিযোগ হোয়াটসঅ্যাপে এবং ৪৯৪ টি অভিযোগ মেল করে রাজভবন থেকে জানানো হয়। সবকটি অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।