নিজস্ব সংবাদদাতা : মহাকাশে টানা 9 মাস কাটানো বিজ্ঞানী-গবেষকদের ( Space Research )কাছে যতই স্বাভাবিক হোক, সাধারণ মানুষের কাছে তা কৌতূহলের বিষয় ৷ তাই সুনীতা উইলিয়ামসরা ( Sunita Williams ) কীভাবে দিন কাটালেন, কী খেয়েছেন, কীভাবে ঘুমিয়েছেন বা মহাকাশে জিম করলেন—এসব জানতে আগ্রহী সবাই ৷
এই কৌতূহল মেটাতে অনলাইনে অনেকেই নানা প্রশ্ন সার্চ করেছেন ৷ নাসা নিজেও মহাকাশচারীদের ভেসে বেড়ানোর ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করেছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের নানা অজানা দিক বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ৷ তবে বাস্তবে সাধারণ মানুষের পক্ষে এসব জিনিস ছুঁয়ে দেখা সম্ভব নয় ৷ কিন্তু এবার সেই অভিজ্ঞতা পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে কলকাতার বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম (BITM) ৷
/anm-bengali/media/media_files/2024/10/29/MkcimkR70oJv4bdWCFzf.jpg)
কলকাতায় স্পেস সেন্টারের রেপ্লিকা ! দর্শনার্থীরা ছুঁয়ে দেখতে পারবেন মহাকাশের জীবন
BITM আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের আদলে একটি মডেল তৈরি করছে ৷ দর্শনার্থীরা এর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন, স্পেস সেন্টারের অভ্যন্তরীণ অবস্থা দেখতে পাবেন ৷ ফিজিক্স গ্যালারিতে রাখা হবে এই রেপ্লিকা ৷ এখানেই রাখা হবে মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের একটি মূর্তি ৷ BITM-এর কিউরেটর রাকেশ মজুমদার জানান, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কলম্বাস মডিউলের আদলে 20 ফুট দৈর্ঘ্যের এই মডেল তৈরি হচ্ছে ৷ আপাতত ছোট একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে ৷ এর ভিতরে প্রবেশের জন্য দু’টি দরজা থাকবে, যেখানে একসঙ্গে দশজন ঢুকতে পারবেন ৷ যদিও বাস্তবে মহাকাশ স্টেশনে এত দরজা থাকে না ৷ এছাড়া জানালা, অ্যান্টেনা, সোলার প্যানেলও থাকবে ৷ আগামী 6 মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই এটি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে ৷
শুধু ছুঁয়ে দেখা বা ছবি তোলাই নয়, মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন প্রজন্মের উৎসাহ বাড়াতে এই মডেল বড় ভূমিকা নেবে ৷ অনেকেই এখন মহাকাশ গবেষণাকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা ভাবছেন ৷ BITM-এর এক আধিকারিক জানান, বাস্তব অভিজ্ঞতা পেলে শিক্ষার্থীরা আরও আগ্রহী হবে ৷
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/16/Xf2wUwV12YysxoW4yoix.JPG)
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিভিন্ন মডিউল রয়েছে, যেগুলোর আলাদা নাম ও ভূমিকা রয়েছে ৷ তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য মডিউল হলো—
- জারিয়া মডিউল: 20 নভেম্বর 1998 সালে উৎক্ষেপণ করা হয় ৷
- ইউনিটি মডিউল: 4 ডিসেম্বর 1998 সালে উৎক্ষেপণ ৷
- জভেজদা মডিউল: 12 জুলাই 2000 সালে মহাকাশে পাঠানো হয় ৷
- ডেসটিনি ল্যাবরেটরি: 7 ফেব্রুয়ারি 2001 সালে উৎক্ষেপণ ৷
- হার্মনি মডিউল: 23 অক্টোবর 2007 সালে মহাকাশে পাঠানো হয় ৷
- কলম্বাস অরবিটাল ফেসিলিটি: 7 ফেব্রুয়ারি 2008 সালে উৎক্ষেপণ ৷
- জাপানি এক্সপেরিমেন্ট: 2008 - 2009 সালের মধ্যে মহাকাশে পাঠানো হয় ৷
মহাকাশ গবেষণায় ভারতও পিছিয়ে নেই ৷ ইসরো ইতিমধ্যেই দেশীয় প্রযুক্তিতে মহাকাশচারী পাঠানোর ‘গগনযান’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে ৷ এছাড়া, সম্প্রতি সূর্যের এল-1 কক্ষপথে সফলভাবে ‘আদিত্য এল-1’ প্রতিস্থাপন করে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা নতুন ইতিহাস গড়েছেন ৷ এবার ইসরোর লক্ষ্য গগনযান মিশনের সফল বাস্তবায়ন ৷