মুখ্যমন্ত্রী জানালেন শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা, এই সময়ে কি তা প্রাসঙ্গিক!

এবছর বহু স্কুলই পালন করছে না টিচার্স ডে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
mamata sadq1.jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলা তো বটেই গোট দেশ জুড়েই চলছে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ। বিভিন্ন বয়সের মানুষ গর্জে উঠছে এই ঘটনায়। সকলে মিলে বলছে এই ঘটনা মানা যায় না, বিচার চায় তিলোত্তমার। আরজি করের ঘটনা এমন ভাবেই মানুষকে নাড়া দিয়েছে যে, যেখানে দুর্গাপুজোর আর এক মাস বাকি, সেখানে আজও পুজো নিয়ে কোনও আলোচনা শুরু হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় প্যান্ডেল হচ্ছে নীরবে। বহু মানুষ দৃঢ়তার সাথে বলেই দিচ্ছেন, এবারে আর পুজোর আনন্দ নয়। এবার শুধুই চায় বিচার, শুধুই চায় জাস্টিস।

আজ শিক্ষক দিবস। আজ সব স্কুলই শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে। আজ যেকোনও শিক্ষাঙ্গনই এই দিনটিকে পালন করে। কিন্তু এবছর সেই নিয়মেও টানা হয়েছে দাঁড়ি। এবছর বহু স্কুলই পালন করছে না টিচার্স ডে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিচ্ছেন না কোনও উপহার, এমনকি পড়ুয়াদেরও বলা হচ্ছে এবছর কোনও ধরনের অনুষ্ঠান হবে না। কেননা সকলের আজ মন খারাপ। বিচার চাইছে ছোট থেকে বড় সকলে।

TG
File Picture

এতো কথা কেন বলছি, ভাবছেন? কেননা এতো সবের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা দিতে ভোলেননি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টিচার্স ডের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, “শিক্ষক দিবসের এই শুভ দিন উপলক্ষ্যে, মহান পণ্ডিত এবং ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর এস রাধাকৃষ্ণনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, আমি বিনয়ের সাথে তাঁর মহান উত্তরাধিকারকে স্মরণ করি এবং একই সাথে আমাদের সমগ্র শিক্ষক সম্প্রদায়ের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা জানাই”।

mamatamoneyu.jpg
File Picture

“আমাদের শিক্ষকরা আমাদের পথপ্রদর্শক, আমাদের অনুপ্রেরণা ও শক্তির স্তম্ভ। তারা আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড। আমাদের গঠনমূলক বছরগুলোতে, এমনকি পরবর্তীতেও আমাদের গাইড করার জন্য আমরা তাদের কাছে সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকব। আমাদের বাবা-মা ছাড়াও, তারাই একমাত্র ব্যক্তি যাদের সামনে আমরা শ্রদ্ধায় মাথা নত করি। এই বিশেষ দিনে সমস্ত শিক্ষক, ছাত্র এবং অশিক্ষক কর্মীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। শুভ শিক্ষক দিবস!”

যেখানে সবাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার চায়ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঠিক কর্তব্য দেখতে চায়ছে, ঠিক সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণ বিরোধী বিল এনে চুপ করে রয়েছেন। অথচ এই ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রশাসনের গাফিলতি চোখের সামনে এসেছে। দেখা গেছে কীভাবে ঘটনার দিন পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছিল। অথচ তারপরও মুখ্যমন্ত্রী বা একজন প্রশাসনিক প্রধান হয়ে তিনি কোনও বদল আনেননি। অথচ আজ তাঁর এই টিচার্স ডে শুভেচ্ছা কি সত্যিই প্রাসঙ্গিক?

 

Adddd