নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘূর্ণিঝড় ডানা কাবু করেছে বাংলা এবং ওড়িশাকে। যদিও এই ডানার দাপটে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে ঝড়ের মোকাবিলা করার পরামর্শ দিয়ে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সারারাত ভোর তিনি বসে থেকেছেন নবান্ন-র কন্ট্রোল রুমে। সেখানে ঝড়ের গতিবিধি পর্যালোচনা করেছেন তিনি। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য। মানুষের জীবন বড় মূল্যবান ঝড় নিয়ে এমনটাই বলেছেন মমতা।
আর এবার সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আফটার এফেন্ট নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭ জেলার জেলাশাসক, প্রশাসনের সাথে কথা বললেন তিনি। জানতে চাইলেন জেলার হাল হকিকত।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, “২ লক্ষ ১৬ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ দিতে হবে এদের। অনেক জায়গায় পলি জমে জল জমে গেছে, পলি সরাতে হবে। পলি সরানোর বিষয়টি জেলাশাসকদেরই দেখতে হবে। যেখানে ম্যালেরিয়ার মশা বেশি সেখানে মশারি দিতে হবে। সাপের কামড়ের ওষুধ সমস্ত গ্রামীণ হাসপাতালে বেশি পরিমাণে মজুত রাখতে হবে। দানার প্রভাবে চাষের জমির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”। সেটা সার্ভে করে দেখার এদিন নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।