চিনার পার্কে ভুয়ো ইনকাম ট্যাক্স অভিযান চালানোর জের ! অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে CISF

এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হয় CISF এর পক্ষ থেকে। অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, দোষী প্রমাণিত দোলে ডিসমিস করা হতে পারে অভিযুক্তদের।

author-image
Debjit Biswas
New Update
Beng_CISF on war against coal mafia


নিজস্ব সংবাদদাতা :  গত ১৮ই মার্চ চিনার পার্কের একটি আবাসনে ভুয়ো ইনকাম ট্যাক্স অভিযান চালিয়ে, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচজন CISF জওয়ান। আর এবার এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই, এই বিষয়টিকে নিয়ে অত্যন্ত তৎপর হয়ে ওঠে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF)। এই পুরো ঘটনাটির ওপর একটি ইন্টারনাল ইনকোয়ারি করা হয় CISF-এর তরফ থেকে। আর এই ইন্টারনাল ইনকোয়ারির রিপোর্টের ভিত্তিতেই আজ এই ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়া হল CISF এর তরফ থেকে। আজ CISF এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকেই ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদের অভিযোগ পুরোপুরি প্রমাণিত হলে সরাসরি ডিসমিস করা হতে পারে এই অভিযুক্ত পাঁচজনকেই। 

CISF


আসুন একবার আমরা দেখে নিই ঠিক কি ঘটেছিল সেদিন।

 ''স্পেশাল ছাব্বিশ'' সিনেমারই ঠিক যেন এক বাস্তবিক রূপ গত ১৮ই মার্চ দেখা গিয়েছিল চিনার পার্কের একটি আবাসনে। গতকাল চিনার পার্কে একটি আবাসনে 'ভুয়ো' ইনকাম ট্যাক্স অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও প্রচুর সোনাদানা লুঠ করার অভিযোগ উঠলো একদল 'আসল; CISF জওয়ানদের বিরুদ্ধে। এই পাঁচজনের মধ্যে একজন মহিলা কনস্টেবলও উপস্থিত ছিলেন। ঠিক সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতোই সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু একটা সময়ের পর কোথাও যেন গিয়ে একটা খটকা লাগে, ভুক্তভোগীদের মনে। এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে তারা বিষয়টি বাগুইআটি থানায়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। এরপর গতকাল এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। আর এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের, কারণ ধৃতেরা প্রত্যেকেই আসল CISF জওয়ান। এরপরেই গ্রেপ্তার করা হয় CISF-এর ইন্সপেক্টর অমিত কুমার সিং সহ, রামু সরোজ, জিতেন্দ্র সাউ, লক্ষী কুমারী ও থাপা নামের চার কনস্টেবলকে।

CISF

কিন্তু এরপর এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আরও বেশকিছু চমকপ্রদ তথ্য হাতে আসে পুলিশের। পুলিশ জানতে পারে যে অভিযোগকারিণীর সৎ মায়ের পূর্ব পরিচিত ছিলেন একজন CISF জওয়ান। মূলত তাকে কাজে লাগিয়েই এই পুরো ঘটনার স্ক্রিপ্ট সাজিয়েছিলেন অমিত কুমার। তারপর যথারীতি প্ল্যান মাফিক পুরো ঘটনাটিকে বাস্তবায়িত করা হয়। এদের মধ্যে অমিত কুমার এর আগে ফারাক্কা ব্যারেজে পোস্টিংয়ে ছিলেন আর লক্ষী কুমারী আর. জি. কর হাসপাতালে পোস্টেড ছিলেন।