নিজস্ব সংবাদদাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে বুধবারও হাজির হলেন সিআইডি কর্তারা। সকাল ১১:৩০-এ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাজির হয়ে প্রথমে মেডিক্যালের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর 'মাতৃমা' বিভাগ যেখানে রোগীরা প্রথম ভর্তি হয়েছিলেন সেখানে তদন্তে যান। কথা বলেন রোগীদের পরিবারের সঙ্গে।
গত সপ্তাহে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতিদের অপারেশনের পর চিকিৎসা বিভ্রাটে একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজন কলকাতার এসএসকেএমএ ভর্তি করানো হয়। রীতিমতো গ্রিন করিডর করে আনা হয় তাঁদের। এই ঘটনায় সিনিয়র চিকিৎসকের অনুপস্থিতি ও জুনিয়র চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করানো ও ভুল ওষুধ ব্যবহার করা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুসারে তদন্তে নেমেছে সিআইডি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার পর সিআইডির টিম হাজির হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়ার পর দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল সুপার , সেদিনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, নার্স সকলকে জেরা করেছে সিআইডি। এরপর বুধবার ফের বেলা ১১ টার পর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সিআইডির একটা টিম হাজির হয়ে যায়। সেখানে মেডিকেল কলেজের কর্তাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর মাতৃমা বিভাগে প্রবেশ করে। সেখানে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেছে সিআইডি। কথা বলেছে মৃত মামনি রুইদাস এর স্বামী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে।
এদিন মারা যাওয়া মামনি রুইদাসের স্বামীর দেবাশীষ রুইদাস এর কাছে সিআইডি জানতে চেয়েছে শিশু কেমন রয়েছে। লালন পালন করতে কোন অসুবিধা হবে কিনা। সেই সাথে দেবাশীষের দিদি যে বাচ্চার এই মুহূর্তে দেখভাল করছিল-তার কাছেও জানতে চেয়েছে শিশুর দেখভাল সে পরবর্তীকালে করবেন কিনা। ফলে মামনির অনুপস্থিতিতে শিশুর সুরক্ষা নিয়ে সমস্ত অবস্থান জানতে চেয়েছে সিআইডি।