নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকে রাজনীতির একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছেন। আরজি করের চিকিৎসকরা নবান্নের সামনে দাঁড়িয়ে যখন সাফ জানিয়ে দিলেন, লাইভ স্ট্রিমিং না হলে তাঁরা আলোচনায় বসবেন না, তখন নবান্নের সভাগৃহ থেকে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "মানুষর স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি রয়েছি। এই পদ আমি চাই না।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "আমার জন্ম আন্দোলন থেকে। সেই কারণে আমি আন্দোলনকে সমর্থন করি। তাই আমি জুনিয়র চিকিৎসক ও অন্য কারও আন্দোলনকে থামাবো না। কারণ আমি দানবিকতায় নয়, মানবিকতায় বিশ্বাসী। "
জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচটা থেকে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আসেন নবান্নে। কিন্তু তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়। জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া তাঁরা বৈঠকে বসবেন না। অন্যদিকে, নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়। নবান্নের সামনে প্রতীকি অবস্থানে বসেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকের প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে, নবান্নের সভাগৃহ থেকে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচার চলছে ঘটনার। এই পরিস্থিতি এই বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই তিনি লাইভ সম্প্রচারে রাজি হননি। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা লাইভ সম্প্রচারের দাবিতে অনড় ছিলেন। এই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমাও চান মমতা।