নিজস্ব সংবাদদাতা: নবান্নের সভাগৃহে দুই ঘণ্টা জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র চিকিৎসকরা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি করেন। সেই দাবি মানতে অস্বীকার করে প্রশাসন। এরপরেই বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন থেকে বেরিয়ে যান। তবে এখনও নবান্নের সামনে প্রতীকি অবস্থানে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তাই ওই বিষয়ে বৈঠক লাইভ করা যায় না। সেই কারণেই লাইভে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। কিন্তু গোটা বৈঠক ভিডিও রেকর্ড করার কথা বলা হয়েছিল, যাতে আদালতকেও ভিডিও দেওয়া যেত। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা তাতে রাজি হননি।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "টেলিকাস্টের ব্যাপারে ওপেন মাইন্ডেড আমরা। কিন্তু বিচারাধীন বিষয়ে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়ে যদি আমার হঠাৎ করে টেলিকাস্ট করি, কেউ যদি হঠাৎ কোনও মন্তব্য করেন, যা আগে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে...তাহলে আমার কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমাদের অফিসারদের কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমরা এমন কিছু করতে চাইনি, যাতে অচলাবস্থা দূর না হয়।"
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জুনিয়র চিকিৎসকরা সভা গৃহেই ঢুকলেন না। কেন ঢুকলেন না আমি জানি না। আমি রেগুলার দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আমি নিজে ফোন আনিনি। সকলকে ফোন আনতে পারিনি। কিন্তু ওরা তার মূল্য দিল না। আমি তিনবার চেষ্টা করলাম। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে রায় দিয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য সাত লক্ষ মানুষ চিকিৎসা পাননি। দেড় হাজার সিরিয়াস কেস, অপারেশন আটকে রয়েছে। তাঁরা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন। এগুলো মেনে নেওয়া যায় না।"