নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন, যা তার চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার সূচনা। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, এবং এই সময়ে তিনি বিচার বিভাগের আধুনিকীকরণ ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিদায়ী অনুষ্ঠানে, চন্দ্রচূড় তার অভিজ্ঞতা, দায়িত্ব এবং বিচার ব্যবস্থায় অবদান নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আগামীকাল থেকে আমি আর ন্যায়বিচার দিতে পারব না, তবে আমি সন্তুষ্ট,” যা তার কাজের প্রতি পূর্ণ সন্তুষ্টি এবং নিষ্ঠা প্রকাশ করে। তিনি আরও জানান, আদালতকে তিনি তীর্থযাত্রীদের মতো মনে করেন, যারা প্রতিদিন সেবা করতে এসে চলে যান, কিন্তু তাদের কাজের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী থাকে। তিনি বলেন, "এই আদালতই আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে," যা তার জীবনের অন্যতম অমূল্য অভিজ্ঞতা।
চন্দ্রচূড় তার শেষ বক্তব্যে একটি জৈন প্রবাদ, "মিছামি দুক্কদম" ব্যবহার করেন, যার মানে "আমার সমস্ত অপকর্ম ক্ষমা করা হোক।" তিনি সকলের প্রতি দয়ালুতা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বিদায়ী বিচারপতি চন্দ্রচূড় তার উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে সুপারিশ করেন, যাকে তিনি একজন স্থিতিশীল, মর্যাদাসম্পন্ন এবং দক্ষ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিচারপতি খান্না আদালতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিদায়ী ভাষণে তার বিচারিক জীবন, সততা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অটল দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে ওঠে, যা বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে।