নিজস্ব সংবাদদাতা: গত সপ্তাহেও তারা গিয়েছিলেন তল্লাশি অভিযানে। কিন্তু সেখানে কয়েকশো মারমুখী জনগণের সামনে পড়ে যান তারা। স্বাভাবিক ভাবেই আহত হন একাধিক ইডি কর্মী। বাদ যাননি সিআরপিএফ জওয়ানরাও। তবে এই এক সপ্তাহের মধ্যে বদলেছে পরিস্থিতি। স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন সিআরপিএফ জওয়ানেরা। তাই আরেকটা সন্দেশখালি হওয়ার আগে বাড়তি সতর্ক কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সহ আরো একাধিক প্রভাবশালী বাড়িতে আজ চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত সুজিত বসু, তাই তার বাড়িতে এই তল্লাশি বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সূত্রের দাবি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে অয়নশীলের অফিসে কম্পিউটারের একটি ফোল্ডার পেয়েছিলেন তারা। সেখানে কাদের কাছে কত টাকা গেছে সেই সংক্রান্ত কিছু নামের কোড ছিল। সেই কোড ট্রেক করতেই সুজিত বসুর নাম উঠে এসেছে। তাছাড়া পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত থাকতে পারেন, সেই আশঙ্কা থেকেও আজ তল্লাশি অভিযান চলছে মন্ত্রীর বাড়িতে। কলকাতা বা শহরতলির বহু মানুষই জানে সুজিত বোস নিজের এলাকায় কতোটা সক্রিয় নেতা বা বলা ভালো শ্রীভূমির অভিভাবক তিনি। তাঁর বাড়িতে ইডির হানা, স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয়টি ভালো চোখে নেবে না সুজিত বসুর অনুগামীরা। তাই কোনও অশান্তির পরিস্থিতি থাকলেও থাকতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে আজ আগাম সতর্ক হতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
তল্লাশি অভিযানের ২ ঘন্টা পেরতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা সুজিত বসুর বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে টহলদারি শুরু করে। লাঠি হাতে, বড় বড় বুটের শব্দ শুনতে পান এলাকার বাসিন্দারা। কোথাও কোনও অকারণ জমায়েত দেখলে, তা এদিয়ে হটিয়ে দেন সিআরপিএফ। দোকানপাট খোলা থাকলেও, কোথাও কোনও ভিড় দেখলে সেখানে গিয়ে কথা বলেন জওয়ানরা। কি জন্যে ভিড় জানতে চান তারা। আবার কারো কারো কাছে দেখা যায় টিয়ার গ্যাসের সেলও। অর্থাৎ আজ সব দিক থেকে ব্যবস্থা নিয়ে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। আরেকটা সন্দেশখালি কিছুতেই হতে দেবেন না তারা।