নিজস্ব সংবাদদাতা: আন্দোলন দমে গেল নাকি আন্দোলন আরও তীব্রতর হল? এই প্রশ্নটা ওঠা এই মুহুর্তে স্বাভাবিক। কেননা লাগাতার চলা জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়ে গেল এই মুহুর্ত থেকে। টানা ৪২ দিন ধরে চলা কর্মবিরতির শেষে কাজে ফিরেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তবে তা ছিল আংশিক অর্থাৎ আংশিক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনায় ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। ১০ দফা দাবি রাখেন সরকারের কাছে।
অবশ্য তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করে দেখতে বলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। যার জন্যে গতকাল আরজি করে হয় সিনিয়র-জুনিয়র বৈঠকও। বৈঠক শেষে রাত ৮টা থেকে টানা ১০ ঘন্টার জিবি মিটিং হয় জুনিয়র ডক্টরস্ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে। আজ সকাল ৬টায় শেষ হয় সেই বৈঠক। তখনই জানা গিয়েছিল আজ ফের রাস্তায় নামছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেল থেকেই জানাবেন তাঁদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
আজ সন্ধ্যায় সেরকমই ভাবে চলছিল সবকিছু। কিন্তু পুলিশের ধরপাকড় ঘুরিয়ে দেয় সমস্ত বিষয়টা। তাই এবার ডাক্তারদের আন্দোলন আরও তীব্রতর। তারা যেরকম কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন ঠিক সেরকম আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ালেন। তারা যেরকম কাজ করবেন ঠিক সেরকম আন্দোলনও চালাবেন। ডোরিনা ক্রসিং-এ লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচী চলবে জুনিয়র চিকিৎসকদের।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকারকে আগামী ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দেওয়া হল জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাঁদের ১০ দফা দাবি পূরণ করতে হবে সরকারকে। অন্যথায় ২৪ ঘন্টা পর থেকে আমরণ অনশনে বসবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাধারণ মানুষের জন্যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই জীবন বাজি রাখবেন চিকিৎসকেরা। এদিন ধর্মতলা থেকে কার্যত এমনই হুঙ্কার দিলেন চিকিৎসকেরা। ফলে আরজি কর আন্দোলন এবার আরও তীব্রতর, ঝাঁঝালো হয়ে উঠলো।