নিজস্ব প্রতিবেদন : টিএমসিপি নেতা আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে বেশ কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে আশিস পাণ্ডে কলেজে অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নানা রকমের অস্বচ্ছ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, সন্দীপ ঘোষের পৃষ্ঠপোষকতায় আশিস পাণ্ডে কলেজের হাউস স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, যা সম্পূর্ণভাবে নিয়মবিরোধী। এই পদে আসীন হওয়ার জন্য তার যোগ্যতা ছিল না, তারপরও তিনি রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে এই পদ লাভ করেন। অভিযোগ রয়েছে যে, কলেজে জুনিয়রদের প্রতি নির্যাতন, অর্থের বিনিময়ে সুবিধা দেওয়া এবং পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের মতো কার্যকলাপে আশিস পাণ্ডের সম্পৃক্ততা ছিল।
সিবিআইয়ের তদন্তে দেখা গেছে যে, আশিস পাণ্ডে ও তার দলের সদস্যরা কলেজের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছিল। বিশেষ করে, জুনিয়র ছাত্রদের ওপর হুমকি দেওয়া এবং ফেস্টিভ্যালের নামে টাকা তোলার অভিযোগ এসেছে। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে আশিসের কর্মকাণ্ডে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে তারা নিজেদের পদের স্বার্থে অন্যদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছে।
আশিস পাণ্ডের গ্রেফতারির পর শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন সংগঠন এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং তারা দাবি করছে যে, কলেজের প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের উচিত এসব অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। আশিসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলি কলেজের সুশাসনের উপর একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন সৃষ্টি করেছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা ও স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।