নিজস্ব সংবাদদাতা: তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সিবিআই আদালতে তাদের চার্জশিটে জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে সঞ্জয় রায় ধর্ষণ ও খুন করেছে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, এরপরেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে চিকিৎসক মহলে। চিকিৎসকদের একাংশ সিবিআইয়ের এই দাবি মানতে অস্বীকার করেছে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে তরুণী চিকিৎসককে আঘাত করা হয়েছে, তা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “মেয়েটি দুর্নীতি চক্রের বলি হয়েছে। শুরু থেকেই যা যা সামনে এসেছে, ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তা দেখে এটা পরিস্কার এর পিছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। সিবিআই প্রকৃত সত্য সামনে আনবে। সেটাই আমাদের আশা।” সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ বলেছেন, যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, বা ঘটানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা রেখেছিলেন, যাঁরা তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, যাঁরা তদন্তকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আমার আশা সিবিআই এদের সবার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে।
আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেছেন, চার্জশিটে প্রমাণ লোপাটের কথা সিবিআই উল্লেখ করেছে। এটা পজিটিভ সাইট। আশা করছি, ভবিষ্যতে সিবিআইয়ের চার্জশিটে আরও সত্যতা আসবে। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেছেন, চার্জশিটে বলা হয়েছে, একজন মত্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার এই কাজ করেছে। কিন্তু মত্ত অবস্থায় কীভাবে এই কাজ করতে পারে, সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এক আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, " তাঁর শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাত্র ১০ ফুট দূরে কাজ করছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। সেখানে সেমিনার রুমে একজনের পক্ষে কী এটা করা সম্ভব? আমার তো মনে হয় না।"
/anm-bengali/media/media_files/agbpsHjkczXAnwsxvKtb.jpeg)