নিজস্ব সংবাদদাতা : বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজও চলছে সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান। সরকারি দফতরগুলিতে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার পর আগামী ৪ মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। হাওড়া ফেরিঘাট থেকে নবান্ন পর্যন্ত বকেয়া ডিএ-র দাবিতে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এদিকে, চূড়ান্ত ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে উল্লেখ করে ওইদিন তাদের মিছিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্নের মুখে পড়লো রাজ্য। রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয় যে ৪ মে ১০ হাজার মানুষের জমায়েত হওয়ার কথা বলা হয়েছে মিছিলে। ব্যস্ততম এলাকায় এত মানুষের সমাগমে পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাছাড়া ডিএ মামলা এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বলেও উল্লেখ করে রাজ্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির বক্তব্য, আন্দোলনকারীরা সরকারেরই কর্মীই। তারা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছেন। সুপ্রিম কোর্ট কি তাদের আন্দোলন করতে বারণ করেছে? সেই সঙ্গে বিচারপতি স্পষ্টতই বলেন, ''মিছিল-মিটিং করার মৌলিক অধিকার সকলের রয়েছে। স্কুল-কলেজ আছে বলে মিছিলে বাধা দেওয়া যায় না।'' পুলিশকে শর্তসাপেক্ষে মিছিলে অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আদালতের তরফে। ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, কেন আদালতকে মাঝখানে ঢুকতে হচ্ছে সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। বলেন, "কোর্ট কাউকে আন্দোলন করতে বাধা দেবে না। আবার কোর্ট সরকারকেও কিছু বলছে না। রাজ্য ঠিক করুক কী শর্তে অনুমতি দেবে।"