নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃষ্টি হলেও তা ক্ষণিকের স্বস্তি। বঙ্গে এখনও প্রবেশ করেনি বর্ষা। বেশ কিছু জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা। এমতাবস্থায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। লোডশেডিং-এর জন্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার লোডশেডিংয়ের সমাধানসূত্র খুঁজতে এবং ঘাটতির বিষয় নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সচিবের সাথে আলোচনা করতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে গিয়েছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের প্রতিনিধিরা। ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করার জন্যই লোডশেডিং করে এই তীব্র গরমে রাজ্যের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে বলে দাবি তার। রাজ্য সরকার কয়লা কিনতে অক্ষম হওয়ায় কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ব্যান্ডেল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট গুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন যে রাজ্য সরকার বিদ্যুতের এই ঘাটতির দায় চাপাচ্ছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহক তথা সাধারণ জনসাধারনের উপর।
এদিন বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে গেলেও ছিলেন না সচিব। ফলে পরবর্তী দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয় বিজেপির তরফে। কিন্তু ক্যামেরার সামনে তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং কার্যত পালিয়ে যান বলে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে ক্ষোভ উগড়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি পোস্টে আরো লেখেন, ''এই তীব্র গরমে প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে নিদারুন কষ্ট ভোগ করছেন, আমরা তার নিবারণ করতে এবং লোডশেডিং বন্ধের দাবি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তরের কোনো আধিকারিকই কথা বলার সৌজন্যতাটুকুও দেখান নি। পরবর্তীকালে রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহক তথা সাধারণ মানুষ, দেউলিয়া রাজ্য সরকারের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নামবেন তখন এই সরকারের ঘুম ভাঙবে।''