নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ফের বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখে হাসি ফুটেছে এই রাজ্যের মহিলাদের। এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করার জন্য আর দুয়ারে সরকার শিবির পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। যাতে সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করা যায় তারই ব্যবস্থা করে দিল রাজ্য প্রশাসন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে শেষ দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজন করা হয়। শেষ দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদনের ভিত্তিতে নতুন করে ৯.৫ লক্ষ মহিলার নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দ্রুতই ২ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারে আর তাতে হবে মাইলস্টোন। রাজ্য সরকারের নতুন নিয়মের ফলে এবার সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে পারেন। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা স্থানীয় বিডিও অফিসে গিয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন। পুরসভা এলাকার বাসিন্দারা মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন। নতুন নিয়মে, কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত বাসিন্দাদের কেএমসি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।দুয়ারে সরকার শিবিরেও আবেদন করার সুযোগ তো থাকছেই। আগামী দিনে উপকৃত হবেন বার্ধক্য ভাতা প্রাপকরা। কারণ ৬০ বছর বয়স হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের নাম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতার তালিকায় উঠে যাবে।নিয়ম অনুসারে, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়ে বার্ধক্য ভাতার তালিকায় অর্থ আগের মতই পেতে থাকবেন। বার্ধক্য ভাতায় মাসিক অনুদান দেওয়া হয় ১০০০ টাকা করে। ফলে সাধারণ শ্রেণির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকরা লাভবানই হবেন।