বিধাননগরের ট্র্যাফিক যেন দুঃস্বপ্ন

উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি, রোজকার ট্র্যাফিক সমস্যা যেন আরও বাড়িয়ে তোলে। ওয়েবেল, সেক্টর ৫, নিউ টাউন বাস স্ট্যান্ড, সল্টলেকের নিকটবর্তী এলাকাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

author-image
SWETA MITRA
আপডেট করা হয়েছে
New Update
BENG COV bidhaa.jpg


নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধাননগর পুলিশ (Bidhannagar Traffic Police) ট্র্যাফিক সামাল দিতে একদম অক্ষম। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যানবাহনগুলি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকছে।  বিশ্ব বাংলা সরণির কাছে রয়েছে একাধিক অফিস এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যদিও বেশিরভাগ সময়ই এই জায়গাগুলিতে ব্যাপক যানজট দেখা যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে তারা পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, ট্র্যাফিক, ইন্দিরা মুখার্জির কাছে যানজটের বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ওয়েবেল, সেক্টর ৫, নিউ টাউন বাস স্ট্যান্ড, সল্টলেকের নিকটবর্তী এলাকাগুলি সবচেয়ে বেশি যানজট হয়। স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিম মুখার্জি বলেন, "গুটি কয়েক সিভিক ভলিন্টিয়ার, কনস্টেবল এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলি পরিচালনা করেন। তবে ট্র্যাফিক পরিচালনার বিষয়ে তাদের কোনও অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান নেই।“ স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেছেন যে কোনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাস্তায় যান চলাচল পরিচালনা বা তদারকি অবধি করছেন না। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অলোক দাস বলেন, "সংবেদনশীল এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন। তাহলেই আপনারা দেখতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে কোনওরকম অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান ছাড়াই কয়েকজন কনস্টেবল, সিভিক ভলিন্টিয়ার দাঁড়িয়ে রয়েছেন।“ সল্টলেক এবং নিউ টাউনে রাজ্য সরকারের প্রচুর অফিস রয়েছে। এদিকে সিনিয়র আইএএস এবং আইপিএস কর্মকর্তারা অবধি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ডিসি ট্র্যাফিক, বিধাননগর, ইন্দিরা মুখার্জিকে রাস্তায় খুব কমই দেখা যায়। বিধাননগর পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দিরা মুখার্জির একাধিক দায়িত্ব থাকায় তিনি সবসময় অন্যান্য কাজেও ব্যস্ত থাকেন। এদিকে ইন্দিরা মুখার্জির এহেন উদাসীনতার ফল ভোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। বিশেষ করে কাজে বেরিয়ে প্রত্যেকদিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন সল্টলেকের বাসিন্দারা।