নিজস্ব প্রতিবেদন : ভূত চতুর্দশী, কালীপুজোর আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা ভূতপ্রেতদের দূরে রাখতে পালন করা হয়। এই দিনে ১৪ শাক খাওয়া, ১৪ প্রদীপ জ্বালানো এবং ১৪ ফোঁটা দেওয়ার রীতি রয়েছে। কেন এই রীতি পালন করা হয়, সে সম্পর্কে নানা মতামত রয়েছে।
পঞ্চভূত—পৃথিবী, জল, বায়ু, অগ্নি এবং আকাশ—মানবদেহের নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মৃত্যুর পর দেহ আবার এই পঞ্চভূতে মিলিয়ে যায়। ভূত চতুর্দশীতে এই পঞ্চভূতকে সম্মান জানানো হয়।
১৪ সংখ্যাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি ঊর্ধ্বলোক এবং পাতালের সাতটি স্তরের সমন্বয়। ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে এই ১৪ লোকে বসবাসকারী জীবদের আলোকিত করার প্রার্থনা করা হয়। মানবশরীরের দিকগুলিও ১৪ সংখ্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত—যেমন, দুই চোখ, দুই কান, মুখ, পায়ুদ্বার ইত্যাদি।
১৪ শাকের বিধানের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, শাক এমন একটি উপাদান যা সর্বত্র জন্মায়। তাই ১৪ শাকের মাধ্যমে জীবজগতের সকলকে প্রার্থনা করা হয়, যেন তারা সব জায়গায় ভালো থাকে। এই ১৪ শাকের মধ্যে রয়েছে ওল, ভাটপাতা, কেঁউ, শৌলফ, শাঞ্চে, কালকাসুন্দে, পলতা, বেতো, সরষে, নিম, গুলঞ্চ, শুষণী, হিঞ্চে এবং জয়ন্তী। এইভাবে ভূত চতুর্দশী শুধুমাত্র একটি রীতি নয়, বরং এটি জীবন এবং মহাবিশ্বের সম্পর্কের গভীর নির্দেশনা বহন করে।